বাঁশখালীতে বিএনপি-জামায়াতের সংঘর্ষ, আহত ১২

চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলায় বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর নেতাকর্মীদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ ও পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ১২ জন আহত হয়েছেন। গতকাল মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) বিকেল ৫টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় বাসিন্দা ও দলীয় সূত্র থেকে জানা যায়, বিকেলে দুই পক্ষের মধ্যে মারামারির সূত্রপাত হয়। পরে রাতে বিষয়টি মীমাংসার জন্য স্থানীয় মোশাররফ আলী হাটে এক বৈঠকে বসেন উভয় পক্ষের নেতাকর্মীরা। সেখানে আবারও পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও সংঘর্ষ শুরু হয়, যা রাত ১১টা পর্যন্ত চলে।

সংঘর্ষে আহতদের মধ্যে রয়েছেন চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা যুবদলের সহ-ধর্মবিষয়ক সম্পাদক নয়নমণি, ছাত্রদলকর্মী মো. তায়েব, এনামুল হক ও তানভীর হাসান। অন্যদিকে, জামায়াত ও ছাত্রশিবিরের আহতদের মধ্যে রয়েছেন ছাত্রশিবিরের বাঁশখালী উত্তর শাখার সেক্রেটারি আজগর হোসাইন এবং জামায়াতকর্মী মো. রাকিব। আহতদের মধ্যে রাকিবকে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে, বাকিরা স্থানীয় বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন।

বুড়িচংয়ে যানজট নিরসন ও ভেজাল খাদ্যবিরোধী অভিযান, জরিমানা

বিস্তারিত পড়ুন

সংঘর্ষের কারণ সম্পর্কে দুই পক্ষ পরস্পরকে দোষারোপ করছে। জামায়াত কর্মীদের অভিযোগ, ছাত্রশিবিরের একটি বৈঠকে ছাত্রদল হামলা চালালে ঘটনার সূত্রপাত হয়। এর বিপরীতে বিএনপির দাবি, ওই বৈঠকে বিএনপি নেতা তারেক রহমানকে নিয়ে কটূক্তি করায় ছাত্রদল প্রতিবাদ করে।

বাঁশখালী উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক লোকমান আহমদ বলেন, “শিবিরের বৈঠকে বিএনপি নেতাকে নিয়ে বাজে মন্তব্য করাকে কেন্দ্র করে এই ঘটনার সূত্রপাত। জামায়াত-শিবিরের হামলায় আমাদের ৪-৫ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।” অন্যদিকে, বাহারছড়া ইউনিয়ন জামায়াতের আমির হাসান আজাদ পাল্টা অভিযোগ করে বলেন, “মাদ্রাসার পাশের মসজিদে একটি কোরআন ক্লাসে ছাত্রদল হামলা করে আমাদের কর্মীদের আহত করেছে।”

বাঁশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম জানান, পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছে।