আগস্ট ২৭, ২০২৫, ০৩:৩৩ পিএম
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) আবারও এক নতুন বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে। এবার স্পট ফিক্সিং কেলেঙ্কারির অভিযোগ উঠেছে বেশ কয়েকটি দলের বিরুদ্ধে। এর মধ্যে অন্যতম হলো ঢালিউড সুপারস্টার শাকিব খানের দল ‘ঢাকা ক্যাপিটালস’। এই বিস্ফোরক খবরের মধ্যেই জানা গেছে, শাকিব খান ঢাকা ক্যাপিটালস এবং দলটির মালিক প্রতিষ্ঠান রিমার্ক-হারল্যান্ড থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন। এই ঘটনা বিপিএল এবং বাংলাদেশের ক্রিকেট অঙ্গনে এক ধরনের অস্থিরতা তৈরি করেছে।
বিসিবির দুর্নীতি দমন সংস্থা 'আকু'র (ACU) তদন্ত প্রতিবেদনে নাকি এমন তথ্য উঠে এসেছে, যেখানে ঢাকা ক্যাপিটালসের নাম সরাসরি অভিযুক্ত হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। শুধু ঢাকা ক্যাপিটালসই নয়, সিলেট এবং চট্টগ্রামের দল দুটিও এই কেলেঙ্কারির জালে জড়িয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। গত ২৪-এর বিপিএল আসরে ঢাকা ক্যাপিটালস দলের প্রধান কর্মকর্তা হিসেবে শাকিব খানের উপস্থিতি টুর্নামেন্টে একটি ভিন্ন জৌলুস যোগ করেছিল। তবে এখন সেই জৌলুস বিতর্কের মেঘে ঢেকে গেছে।
শাকিব খানের নিজস্ব প্রতিষ্ঠান এসকে ফিল্মস এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, অভিনেতা অনেক আগেই রিমার্ক-হারল্যান্ড থেকে সরে এসেছেন। তাই ঢাকা ক্যাপিটালসসহ প্রতিষ্ঠানটির কোনো কার্যক্রমের সঙ্গে তিনি আর যুক্ত নন। সুতরাং দলটির বিরুদ্ধে ওঠা ফিক্সিংয়ের অভিযোগ সম্পর্কে তার কাছে কোনো তথ্য নেই। এই বিবৃতিটি শাকিব খানের পক্ষ থেকে এক ধরনের 'দায়মুক্তির' ইঙ্গিত বলে মনে করছেন ক্রিকেট বিশ্লেষকরা। তাদের মতে, ফিক্সিংয়ের মতো গুরুতর অভিযোগের মুখে কোনো তারকা তারকারই দলের সঙ্গে যুক্ত থাকা কঠিন।
বিসিবির একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র জানিয়েছে, অভিযোগ প্রমাণিত হলে সংশ্লিষ্ট দল এবং জড়িতদের বিরুদ্ধে বড় ধরনের শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে। ক্রিকেটে দুর্নীতির বিরুদ্ধে বিসিবির কঠোর অবস্থান বারবার প্রমাণিত হয়েছে। এই ফিক্সিংয়ের অভিযোগ প্রমাণিত হলে তা বিপিএলের ভাবমূর্তির জন্য একটি বড় ধাক্কা হবে। বিশেষ করে, যেখানে বিপিএলকে আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করার চেষ্টা করা হচ্ছে, সেখানে এমন ঘটনা টুর্নামেন্টের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলবে।
বিসিবির পক্ষ থেকে এ বিষয়ে শিগগিরই আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসবে বলে জানা গেছে। বিসিবি কিভাবে এই গুরুতর অভিযোগ মোকাবেলা করে এবং কীভাবে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়, তা দেখার জন্য ক্রিকেটপ্রেমীরা অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন। এই ঘটনা শুধু খেলোয়াড়দের পারফরম্যান্স নিয়েই নয়, বরং টুর্নামেন্টের পরিচালনার স্বচ্ছতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে।