মঙ্গলবার, ১২ আগস্ট, ২০২৫, ২৭ শ্রাবণ ১৪৩২

ত্বকের যেসব লক্ষণে বুঝবেন শরীরে কোলেস্টেরল বাড়ছে

দিনাজপুর টিভি ডেস্ক

আগস্ট ১১, ২০২৫, ০১:৪০ পিএম

ত্বকের যেসব লক্ষণে বুঝবেন শরীরে কোলেস্টেরল বাড়ছে

ছবি-দিনাজপুর টিভি

আমাদের ব্যস্ত ও অনিয়মিত জীবনযাত্রা, অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস এবং অপর্যাপ্ত শারীরিক পরিশ্রমের কারণে উচ্চ কোলেস্টেরলের সমস্যা এখন খুবই সাধারণ হয়ে উঠেছে। কোলেস্টেরল হলো রক্তে থাকা এক ধরনের চর্বি, যার মধ্যে খারাপ কোলেস্টেরল (LDL) বেড়ে গেলে তা রক্তনালিতে জমে রক্ত চলাচলকে বাধাগ্রস্ত করতে পারে। এটি হৃদরোগ ও স্ট্রোকের ঝুঁকি বহুগুণে বাড়িয়ে দেয়। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শরীরে কোলেস্টেরল বাড়ার কিছু লক্ষণ অনেক সময় ত্বকেই প্রকাশ পায়। এই লক্ষণগুলো সময়মতো চিনতে পারলে বড় ধরনের স্বাস্থ্যঝুঁকি এড়ানো সম্ভব।

উচ্চ কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে গেলে শরীরের ত্বকে কিছু নির্দিষ্ট লক্ষণ দেখা দিতে পারে। এই লক্ষণগুলো সম্পর্কে সচেতন থাকলে আমরা দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে পারি এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে পারি। জেনে নিন এমন ৫টি গুরুত্বপূর্ণ লক্ষণ:

১. ত্বক শুষ্ক হয়ে যাওয়া ও চুলকানি: রক্তে চর্বির মাত্রা বেশি হলে ত্বক রুক্ষ হয়ে যেতে পারে এবং এতে চুলকানি, ফুসকুড়ি বা সোরাইসিসের মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে। রক্ত চলাচলে ব্যাঘাত ঘটলে ত্বক তার স্বাভাবিক পুষ্টি থেকে বঞ্চিত হয়, যার ফলে এমনটা হতে পারে।

২. ত্বকের রঙে পরিবর্তন: যদি রক্ত ঠিকমতো ত্বকের কোষে পৌঁছাতে না পারে, তাহলে ত্বকের স্বাভাবিক রঙ মলিন বা ফ্যাকাসে হয়ে যায়। অনেক সময় মুখ বা ত্বকের কিছু অংশ হলুদেটে বা কালচে হয়ে যেতে পারে, যা উচ্চ কোলেস্টেরলের একটি লক্ষণ হতে পারে।

৩. চোখের চারপাশে হলুদ দাগ: চোখের উপরের বা নিচের পাতায় হালকা হলুদ রঙের দাগ বা স্তর দেখা গেলে তাকে ‘জ্যানথেলাসমা’ বলা হয়। এটি খারাপ কোলেস্টেরল বেড়ে যাওয়ার একটি প্রাথমিক ও স্পষ্ট ইঙ্গিত। এই ধরনের দাগ দেখলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।

৪. নীল বা বেগুনি রঙের জালের মতো দাগ: হাত, পা বা মুখের ত্বকে যদি জালের মতো নীলচে বা বেগুনি রঙের দাগ দেখা যায়, তাহলে তা রক্ত চলাচলে গুরুতর সমস্যার কারণে হতে পারে। এটিও উচ্চ কোলেস্টেরলের সঙ্গে সম্পর্কিত একটি লক্ষণ।

৫. ত্বকে চুলকানি ও জ্বালাপোড়া: রক্তে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে গেলে ত্বকে অস্বস্তি, চুলকানি বা হালকা জ্বালাপোড়ার মতো অনুভূতি হতে পারে। এমন অনুভূতি দীর্ঘস্থায়ী হলে দ্রুত চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করা প্রয়োজন।

করণীয় কী?

এ ধরনের কোনো লক্ষণ দেখা দিলে দেরি না করে রক্ত পরীক্ষা করিয়ে নেওয়া এবং চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি। কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখতে নিয়মিত ব্যায়াম, স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া এবং ধূমপান ও অন্যান্য অস্বাস্থ্যকর অভ্যাস এড়িয়ে চলা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সময়মতো সতর্ক থাকলে হৃদরোগের মতো মারাত্মক সমস্যা থেকে নিজেকে রক্ষা করা সম্ভব।