আগস্ট ৯, ২০২৫, ১০:০৬ এএম
ওটস এক ধরনের পুষ্টিকর শস্য, যা বিশ্বজুড়ে সকালের নাস্তা হিসেবে অত্যন্ত জনপ্রিয়। এতে থাকা উচ্চমাত্রার ফাইবার, ভিটামিন এবং খনিজ পদার্থ এটিকে একটি আদর্শ খাদ্য হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে। স্বাস্থ্য সচেতন মানুষের কাছে এটি একটি প্রধান খাদ্য হিসেবে পরিচিত, কারণ এটি শুধু সুস্বাদুই নয়, আমাদের সামগ্রিক স্বাস্থ্যের জন্যও অনেক উপকারী।
ওটসকে বলা হয় একটি সুপারফুড। এটি নিয়মিত খেলে নানা ধরনের স্বাস্থ্য সুবিধা পাওয়া যায়। সম্প্রতি একটি গবেষণায় দেখা গেছে, ওটসে থাকা বিভিন্ন পুষ্টি উপাদান আমাদের শরীরকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। চলুন দেখে নিই, প্রতিদিন ওটস খেলে কী কী উপকার পাওয়া যায়:
১. বিটা গ্লুকন ফাইবার: ওটসে বিটা গ্লুকন নামে এক ধরনের দ্রবণীয় ফাইবার থাকে। এই ফাইবার পেটে গিয়ে জল শোষণ করে একটি জেল তৈরি করে, যা পেট ভরা রাখে। ফলে অতিরিক্ত খাওয়া কমানো যায়। এটি কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে এবং হজমশক্তি উন্নত করে। এছাড়াও, বিটা গ্লুকন কোলেস্টেরল কমাতে এবং হৃদরোগের ঝুঁকি হ্রাস করতে সহায়ক।
২. পুষ্টিতে ভরপুর: ওটসের পুষ্টিগুণ তার ক্যালোরির চেয়ে অনেক বেশি। এতে প্রোটিন, ফাইবার, ম্যাগনেসিয়াম, এবং জিঙ্কের মতো অনেক প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান রয়েছে। প্রতি ৩০ গ্রাম ওটসে প্রোটিন ও স্বাস্থ্যকর চর্বি বেশি থাকে, যা ওজন কমাতে সহায়তা করে।
৩. গ্লুটেন মুক্ত: ওটস স্বাভাবিকভাবেই গ্লুটেন মুক্ত। যারা গ্লুটেন সংবেদনশীলতায় ভুগছেন, তাদের জন্য এটি একটি ভালো বিকল্প। গ্লুটেন সাধারণত পাউরুটি, পাস্তার মতো খাবারে পাওয়া যায়।
ওটসের প্রকারভেদ: ওটস মূলত তিন ধরনের হয়ে থাকে:
-
স্টিল কাট ওটস: কম প্রক্রিয়াজাত এবং সবচেয়ে স্বাস্থ্যকর।
-
রোলড ওটস: কিছুটা প্রক্রিয়াজাত এবং নরম, যা স্মুদি তৈরিতে ব্যবহৃত হয়।
-
ইনস্ট্যান্ট ওটস: সবচেয়ে বেশি প্রক্রিয়াজাত এবং দ্রুত রান্নার জন্য উপযুক্ত, তবে এতে অনেক সময় প্রিজারভেটিভ যোগ করা হয়।