আগস্ট ১৪, ২০২৫, ১১:০৬ পিএম
সাইবার নিরাপত্তা এখন আধুনিক জীবনের একটি অপরিহার্য অংশ। কিন্তু দুর্বল পাসওয়ার্ড ব্যবহারের কারণে প্রতিনিয়ত আমাদের ব্যক্তিগত তথ্যের নিরাপত্তা ঝুঁকির মুখে পড়ছে। প্রযুক্তি যত উন্নত হচ্ছে, হ্যাকারদের কৌশলও তত উন্নত হচ্ছে। তাই অনলাইনে নিজেদের সুরক্ষিত রাখতে শক্তিশালী পাসওয়ার্ড এবং কিছু কার্যকর অভ্যাস গড়ে তোলা জরুরি।
১. জটিল পাসওয়ার্ড ব্যবহার: পাসওয়ার্ড সুরক্ষিত রাখার সবচেয়ে কার্যকর উপায় হলো একটি জটিল ও দীর্ঘ পাসওয়ার্ড ব্যবহার করা। এর জন্য বড় হাতের অক্ষর, ছোট হাতের অক্ষর, সংখ্যা এবং বিশেষ চিহ্ন ব্যবহার করা উচিত। ক্রোমসহ অনেক আধুনিক ব্রাউজার ও অ্যাপ এই ধরনের এলোমেলো পাসওয়ার্ড তৈরি করতে সহায়তা করে, যা হ্যাকারদের জন্য অনুমান করা কঠিন।
২. টু-ফ্যাক্টর অথেনটিকেশন (2FA): ব্যাংক অ্যাকাউন্ট, ই-মেইল বা সোশ্যাল মিডিয়ার মতো সংবেদনশীল তথ্যের সুরক্ষায় টু-ফ্যাক্টর অথেনটিকেশন (2FA) ব্যবহার করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এর ফলে, পাসওয়ার্ড চুরি হলেও হ্যাকাররা অ্যাকাউন্টে প্রবেশ করতে পারে না, কারণ তাদের দ্বিতীয় ধাপের যাচাই প্রক্রিয়ায় সফল হতে হয়। যদিও এর জন্য কিছুটা বেশি সময় লাগে, তবে এটি নিরাপত্তার জন্য অপরিহার্য।
৩. একাধিক অ্যাকাউন্টে একই পাসওয়ার্ড নয়: অনেকগুলো অ্যাকাউন্টে একই পাসওয়ার্ড ব্যবহার করা একটি গুরুতর নিরাপত্তা ঝুঁকি। যদি কোনো একটি পাসওয়ার্ড ফাঁস হয়ে যায়, তবে হ্যাকাররা ‘ক্রিডেনশিয়াল স্টাফিং’ পদ্ধতির মাধ্যমে সেই পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে আপনার অন্যান্য অ্যাকাউন্টেও প্রবেশের চেষ্টা করতে পারে। প্রতিটি অ্যাকাউন্টের জন্য আলাদা পাসওয়ার্ড ব্যবহার করলে এই ঝুঁকি এড়ানো সম্ভব।
৪. পাসওয়ার্ড ম্যানেজার ব্যবহার: সবগুলো অ্যাকাউন্টের জন্য জটিল ও আলাদা পাসওয়ার্ড মনে রাখা কঠিন। এই সমস্যার সমাধান হিসেবে পাসওয়ার্ড ম্যানেজার ব্যবহার করা যেতে পারে। একটি শক্তিশালী মাস্টার পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে বাকি সব পাসওয়ার্ড সুরক্ষিতভাবে সংরক্ষণ করা যায়। আধুনিক ব্রাউজারগুলোয় বিল্ট-ইন পাসওয়ার্ড ম্যানেজার থাকলেও, সর্বোচ্চ নিরাপত্তার জন্য এমন ম্যানেজার ব্যবহার করা উচিত যা অনলাইন সার্ভারে নয়, বরং শুধুমাত্র স্থানীয় ডিভাইসে পাসওয়ার্ড সংরক্ষণ করে।