আগস্ট ১৫, ২০২৫, ০৯:৪৫ এএম
দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ মুসলমানদের জন্য ফরজ ইবাদত। কিন্তু অনেক সময় অসাবধানতাবশত নামাজরত অবস্থায় মোবাইল ফোনের রিংটোন বেজে ওঠে, যা মুসল্লিদের মনোযোগে ব্যাঘাত ঘটায়। এ অবস্থায় কী করণীয়, সে বিষয়ে ইসলামি শরিয়ত কিছু সুস্পষ্ট নির্দেশনা দিয়েছে।
ইসলামি নির্দেশনা অনুযায়ী, মসজিদে প্রবেশের আগেই বা অন্ততপক্ষে নামাজে দাঁড়ানোর আগে মোবাইল ফোন বন্ধ বা সাইলেন্ট করে রাখা প্রত্যেক মুসলমানের কর্তব্য। এতে শুধু নিজের নামাজই নয়, অন্য মুসল্লিদের মনোযোগও বিঘ্নিত হওয়া থেকে রক্ষা পায়। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, একাগ্রতার সঙ্গে নামাজ আদায় করলে তা আগের সব গুনাহের কাফফারা হয়ে যায়।
যদি কোনো কারণে নামাজের আগে মোবাইল বন্ধ করা না হয় এবং নামাজরত অবস্থায় রিংটোন বেজে ওঠে, তখন কয়েকটি বিষয় খেয়াল রাখতে হবে:
১. এক হাত দিয়ে বন্ধ করা: সবচেয়ে উত্তম পন্থা হলো এক হাত ব্যবহার করে দ্রুত মোবাইল বন্ধ করে দেওয়া। এটি পকেটের ওপর থেকে করা হোক বা পকেটের ভেতরে হাত ঢুকিয়ে করা হোক, যদি তা এক হাতে করা হয়, তবে নামাজ ভাঙবে না।
২. মোবাইল বের করে বন্ধ করা: যদি পকেট থেকে মোবাইল বের করে দেখে দেখে বন্ধ করা হয়, তবে নামাজ ভেঙে যাবে। কারণ এতে এমন কাজ করা হয় যা দেখে কোনো সাধারণ মানুষ মনে করতে পারে যে ব্যক্তি নামাজে নেই।
৩. দুই হাত ব্যবহার করা: যদি মোবাইল বন্ধ করার জন্য দুই হাত ব্যবহার করা হয় বা বন্ধ করতে গিয়ে তিন তাসবিহ পরিমাণ সময় অতিবাহিত হয়, তবে নামাজ ভেঙে যাবে।
এই সংক্রান্ত ফতোয়াগুলোতে স্পষ্ট করে বলা হয়েছে যে, সামান্যতম নড়াচড়া বা এক হাতে মোবাইল বন্ধ করলে নামাজ নষ্ট হয় না। তবে একাধিকবার নড়াচড়া বা দুই হাত ব্যবহারের মতো বড় ধরনের কোনো কাজ করলে নামাজ ভেঙে যাবে। তথ্যসূত্র: ফাতাওয়া তাতারখানিয়া ১/৫৬৪; শরহুল মুনইয়াহ পৃ. ৪৪৩; ফাতাওয়া হিন্দিয়া ১/১০৫।