আগস্ট ১৪, ২০২৫, ১১:৩২ পিএম
বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে এমন কিছু ব্যক্তিত্ব আছেন, যাদের জীবন ও সংগ্রাম দেশের ইতিহাসের অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে উঠেছে। তেমনই একজন ব্যক্তিত্ব হলেন বাংলাদেশের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া। আজ তার ৮১তম জন্মদিন। এই দিনে আমরা তার শৈশব, রাজনৈতিক জীবনের শুরু, গণতন্ত্রের জন্য তার আপসহীন সংগ্রাম এবং ব্যক্তিগত জীবনের নানা দিক নিয়ে আলোচনা করব।
ফেনীতে এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে খালেদা জিয়ার জন্ম। ১৯৬০ সালে তিনি তৎকালীন সেনা কর্মকর্তা জিয়াউর রহমানের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। এরপর তার জীবন এক ভিন্ন পথে চালিত হয়। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় দুই সন্তান নিয়ে তিনি গৃহবন্দী ছিলেন। জিয়াউর রহমানের মৃত্যুর পর তার জীবনে এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা হয়, যখন তিনি ১৯৮২ সালে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বা বিএনপিতে যোগ দেন। মাত্র দুই বছরের মধ্যে তিনি দলের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব গ্রহণ করেন এবং দলের হাল ধরেন।
১৯৮৬ সালে তিনি স্বৈরাচারী শাসনের বিরুদ্ধে একজন আপসহীন নেত্রী হিসেবে আন্দোলন শুরু করেন। তার নেতৃত্বে ১৯৯০ সালের গণ-আন্দোলনে স্বৈরাচার এরশাদের পতন হয়, যা দেশের গণতান্ত্রিক ইতিহাসে এক গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা। এরপর ১৯৯১ সালের সাধারণ নির্বাচনে তার দল বিএনপি জয়লাভ করে এবং তিনি বাংলাদেশের প্রথম নির্বাচিত নারী প্রধানমন্ত্রী হন। তার নেতৃত্বে দেশে পুনরায় সংসদীয় গণতন্ত্র চালু হয়। তিনি তিনবার প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছেন। তার রাজনৈতিক জীবনে কারাবাস, ছোট ছেলে কোকোর মৃত্যু এবং নানা রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের মধ্য দিয়ে তাকে যেতে হয়েছে। কিন্তু তিনি জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে কখনো আপস করেননি।
বেগম খালেদা জিয়া তার জীবনের প্রতিটি মুহূর্তে রাজনৈতিক আপস, ব্যক্তিগত ত্যাগ এবং জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে এক সাহসী নারী নেতৃত্বের প্রতীক হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। তার জন্মদিনে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনা এবং তার স্বপ্ন পূরণের প্রতিশ্রুতি দিয়ে আসছে তার দল ও অনুসারীরা।
রাজনৈতিক নেতৃত্বের অজানা দিক এবং দেশের আরও খবর জানতে চোখ রাখুন: দিনাজপুরটিভি.কম