নিবন্ধনে ব্যর্থতায় নেপালে বন্ধ ফেসবুক-টুইটার

অপব্যবহার, ঘৃণা ও গুজব ছড়ানো এবং সাইবার অপরাধের মতো কর্মকাণ্ড ঠেকাতে নেপাল সরকার একটি কঠোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কর্তৃপক্ষের কাছে নিবন্ধন করতে ব্যর্থ হওয়ায় দেশটিতে জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক, এক্স (সাবেক টুইটার) এবং ইনস্টাগ্রাম-এর মতো বেশ কয়েকটি প্ল্যাটফর্মের কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার দেশটির সরকার এই ঘোষণা দেয়, যা সারা বিশ্বে আলোচনার জন্ম দিয়েছে।

নেপাল সরকার একটি নতুন আইন অনুযায়ী সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম কোম্পানিগুলোকে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে যোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধন করার নির্দেশ দিয়েছিল।

হট ৬০ প্রো প্লাসের মাধ্যমে গিনেস রেকর্ডে নাম লেখালো ইনফিনিক্স

বিস্তারিত পড়ুন

নিবন্ধনের শর্ত হিসেবে স্থানীয় প্রতিনিধি, অভিযোগ নিষ্পত্তিকারী এবং কোম্পানির দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তির নাম দেওয়ার কথা বলা হয়। কিন্তু মেটা (ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ, ইনস্টাগ্রামের মূল প্রতিষ্ঠান) এবং অন্যান্য বড় প্ল্যাটফর্ম এই শর্ত মানতে ব্যর্থ হয়।

নেপালের যোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী পৃথ্বী সুব্বা গুরুং বলেছেন, "আমরা তাদের নিবন্ধনের জন্য পর্যাপ্ত সময় দিয়েছি এবং বারবার অনুরোধ করেছি। কিন্তু তারা আমাদের অনুরোধ উপেক্ষা করেছে।

যে কারণে তাদের সেবা নেপালে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।" অন্যদিকে, টিকটক, ভাইবার এবং আরও কিছু ছোট প্ল্যাটফর্ম ইতোমধ্যে নিবন্ধন সম্পন্ন করেছে।

নেপালের প্রায় তিন কোটি জনসংখ্যার ৯০ শতাংশের বেশি মানুষ ইন্টারনেট ব্যবহার করে। দেশটির সরকার জানিয়েছে, ভুয়া আইডির মাধ্যমে এসব প্ল্যাটফর্মে ঘৃণা ও গুজব ছড়িয়ে সামাজিক সম্প্রীতি নষ্ট করা হচ্ছে, যা নিয়ন্ত্রণের জন্যই এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

তবে এই সিদ্ধান্তে নেপালের লক্ষ লক্ষ ব্যবহারকারী এবং বিদেশে থাকা নেপালিদের যোগাযোগ ব্যবস্থা ব্যাহত হবে। মেটা কর্তৃপক্ষ এই বিষয়ে এখনও কোনো মন্তব্য করেনি।