সেপ্টেম্বর ১৮, ২০২৫, ১১:৩৮ এএম
বর্তমান যুগে ফেসবুক শুধু বিনোদনের মাধ্যম নয়, বরং তরুণ প্রজন্মের জন্য আয়ের একটি বড় সুযোগ হিসেবে পরিণত হয়েছে। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দ্রুত জনপ্রিয়তা ও আয়ের নেশা অনেক তরুণকে তাদের ব্যক্তিত্ব ও নৈতিকতা হারাতে বাধ্য করছে।
ডিজিটাল সিকিউরিটি এজেন্সির সাম্প্রতিক জরিপ অনুযায়ী, বাংলাদেশে প্রায় ১২ লাখ তরুণ নিয়মিত কনটেন্ট তৈরি করে ফেসবুক মনিটাইজেশনের চেষ্টা করছেন।
দ্রুত ভিউ ও লাইক বাড়ানোর চাপে মানসম্মত ও শিক্ষামূলক কনটেন্টের পরিবর্তে এখন বিতর্কিত বা ট্রেন্ডি বিষয়বস্তু বেশি তৈরি হচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই প্রবণতা তরুণদের মানসিক চাপ ও হতাশার দিকে ঠেলে দিচ্ছে।
জনতা মহাবিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক রাশেদা খাতুন বলেন, ‘লাইক, শেয়ার এবং ইনকামের হিসাব কষতে কষতে তারা বাস্তব জীবন থেকে দূরে সরে যাচ্ছে। এতে তাদের আত্মমর্যাদা ক্ষুণ্ন হচ্ছে।
’ সম্প্রতি রাজশাহীতে এমন একটি ঘটনা ঘটেছে, যেখানে এক তরুণ দর্শক টানতে বিতর্কিত ও অশ্লীল কনটেন্ট প্রচার করেন। পরে পরিবার ও সমাজের চাপে তাকে ভিডিও তৈরি বন্ধ করতে হয়
সমাজবিজ্ঞানী ড. শহীদুল ইসলাম মনে করেন, ফেসবুক মনিটাইজেশন একটি ইতিবাচক সুযোগ। কিন্তু এর সঠিক ব্যবহার না হলে তরুণরা অর্থ ও খ্যাতির পেছনে ছুটতে গিয়ে নৈতিকতা এবং সামাজিক মূল্যবোধ হারাবে।
তিনি বলেন, এই পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসতে পরিবার, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে সঠিক দিকনির্দেশনা দেওয়া অত্যন্ত জরুরি। বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দিয়েছেন, মনিটাইজেশনকে শিক্ষামূলক, তথ্যসমৃদ্ধ বা সমাজকল্যাণমূলক কাজে ব্যবহার করা উচিত। তাদের মতে, অর্থ উপার্জনের পাশাপাশি ব্যক্তিত্ব, নৈতিকতা ও সামাজিক মূল্যবোধ রক্ষা করাই প্রকৃত সাফল্য।