সেপ্টেম্বর ১৮, ২০২৫, ১২:০৫ পিএম
ভারতের সাবেক শীর্ষস্থানীয় আমলা ও প্রসার ভারতী বোর্ডের সাবেক সিইও জহর সরকার বিশ্বাস বলেছেন, বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি হঠাৎ করে বদলে যাওয়ায় দিল্লিতে এক ধরনের ধাক্কা লেগেছিল, তবে এখন এই বাস্তবতা মেনে নিতে হবে। তিনি বলেন, বাংলাদেশের ভোটাররা যাকে শাসক হিসেবে বেছে নেবে, ভারতকেও তাকেই মানতে হবে।
সম্প্রতি দিল্লির ইন্ডিয়া ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার (আইআইসি) বাংলাদেশের আসন্ন নির্বাচন নিয়ে একটি আলোচনা সভার আয়োজন করে। সেখানে জহর সরকার বিশ্বাস বলেন, ভারতের উচিত কোনো প্ররোচনায় কান না দিয়ে নির্বাচনের ফলাফল দেখার জন্য অপেক্ষা করা।
তিনি জোর দিয়ে বলেন, "বাংলাদেশের এখনকার পরিস্থিতি আমাদের মানতে হবে, বুঝতে হবে। বোঝার থেকেও বেশি কথা হলো মানতে হবে।"
আলোচনায় ভারতের সাবেক হাইকমিশনার হর্ষবর্ধন শ্রিংলা দ্বিমত পোষণ করেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশে যদি ভুল কোনো সরকার ক্ষমতায় আসে, তাহলে ভারতের নিরাপত্তা ও দীর্ঘমেয়াদি স্বার্থের ওপর এর কী প্রভাব পড়বে, তা নিয়ে আমি দ্বিধান্বিত।
তিনি মনে করেন, যেসব প্রতিবেশীর সঙ্গে ভারতের অভিন্ন সীমান্ত আছে, তাদের দেশের পরিস্থিতিকে কখনোই ‘অভ্যন্তরীণ বিষয়’ বলে এড়িয়ে যাওয়া যায় না, কারণ সেখানে ভারতের নিরাপত্তা স্বার্থ জড়িত থাকে। তিনি জামায়াতে ইসলামীকে মুসলিম ব্রাদারহুডের অংশ বলেও মন্তব্য করেন।
অন্যদিকে, আন্তর্জাতিক সম্পর্কের অধ্যাপক শ্রীরাধা দত্ত বলেন, ভারতের উচিত এই বাস্তবতা স্বীকার করে নেওয়া যে আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগ অংশ নিতে পারছে না।
তিনি মনে করেন, ২০১৪, ২০১৮ বা ২০২৪ সালের নির্বাচন নিয়ে ভারতের নৈতিক অবস্থান এখন দুর্বল হয়ে পড়েছে। তার মতে, জামায়াত এখন সম্পূর্ণ নতুন চেহারার একটি দল।
তিনি বলেন, সম্প্রতি তিনি ঢাকা সফরে গিয়ে জামায়াতের নেতাদের সঙ্গে কথা বলেছেন এবং তাদের বক্তব্য দারুণভাবে মুগ্ধ করার মতো।
যদিও তারা ‘চার্ম অফেনসিভ’ বা মন মুগ্ধ করার কৌশল নিয়েছে, বাস্তবে তারা কী করছে তা অন্য বিষয়, এবং ভারতকে তা বুঝেই পা ফেলতে হবে।