শুক্রবার, ০৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ২১ ভাদ্র ১৪৩২

ইউক্রেনে পশ্চিমা সেনা মোতায়েনের প্রস্তাবে পুতিনের হুঁশিয়ারি

দিনাজপুর টিভি ডেস্ক

সেপ্টেম্বর ৫, ২০২৫, ০৫:০৫ পিএম

ইউক্রেনে পশ্চিমা সেনা মোতায়েনের প্রস্তাবে পুতিনের হুঁশিয়ারি

ছবি - সংগৃহীত

ইউক্রেনে পশ্চিমা নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েনের প্রস্তাব নিয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে নতুন করে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। সম্প্রতি প্যারিসে অনুষ্ঠিত এক সম্মেলনে ইউক্রেনের ২৬টি মিত্র দেশ যুদ্ধবিরতির পরপরই স্থল, সমুদ্র বা আকাশপথে সেনা মোতায়েনের বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে একমত হয়েছে। ফরাসি প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রোঁ এই ঘোষণা দেন। তিনি জানান, এই সেনারা সম্মুখ সমরে লড়াই করবে না, বরং তাদের মূল উদ্দেশ্য হবে ভবিষ্যতে যেকোনো নতুন আগ্রাসন প্রতিরোধ করা। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি এই পদক্ষেপকে একটি গুরুত্বপূর্ণ ও বাস্তবসম্মত সিদ্ধান্ত হিসেবে স্বাগত জানিয়েছেন।

তবে এই পরিকল্পনার তীব্র বিরোধিতা করেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। একটি অর্থনৈতিক ফোরামে যোগ দিয়ে তিনি বলেন, "যদি এমন কোনো সিদ্ধান্ত হয়, যা দীর্ঘমেয়াদি শান্তির দিকে নিয়ে যায়, তাহলে আমি বিদেশি সেনাদের উপস্থিতির কোনো কারণ দেখি না।" একই সঙ্গে তিনি কড়া হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন যে, ইউক্রেনের মাটিতে যেকোনো পশ্চিমা সৈন্যের উপস্থিতি রাশিয়ার জন্য বৈধ লক্ষ্যবস্তু বলে বিবেচিত হবে, কারণ রাশিয়া ন্যাটো জোটকে নিজেদের শত্রু মনে করে।

হোয়াইট হাউস এখনো ইউক্রেনে তাদের সেনাদের ভূমিকার বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানায়নি। তবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইঙ্গিত দিয়েছেন যে যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন সম্ভবত বিমান সহায়তা হিসেবে আসতে পারে। ট্রাম্প বলেছেন, তিনি পুতিনের সঙ্গে ভালো আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছেন এবং অদূর ভবিষ্যতে তাদের মধ্যে কথা হতে পারে।

ইউক্রেন চাইছে প্রথমে একটি যুদ্ধবিরতি কার্যকর হোক এবং তারপর একটি পূর্ণাঙ্গ শান্তিচুক্তি নিয়ে আলোচনা শুরু হোক। অন্যদিকে, রাশিয়া জোর দিয়ে বলছে, প্রথমে একটি চূড়ান্ত শান্তিচুক্তি সই হতে হবে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, ইউক্রেন ও তার পশ্চিমা মিত্ররা পুতিনের এই কথায় খুব বেশি আশ্বস্ত হবে না। কারণ, পশ্চিমারা মনে করে, রাশিয়া আসলে সময়ক্ষেপণ করে আরও বেশি ইউক্রেনীয় ভূখণ্ড দখল করতে চাইছে।

পর্যবেক্ষকরা বলছেন, দুই কোরিয়ার সীমান্ত রেখার মতো একটি পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে, যেখানে একটি শক্তিশালী আন্তর্জাতিক বাহিনী যুদ্ধবিরতি কার্যকর করে শান্তি বজায় রাখবে। তবে আপাতত, উভয় পক্ষই তাদের নিজ নিজ অবস্থানে অনড় থাকায় শান্তি প্রক্রিয়া খুব একটা এগোচ্ছে বলে মনে হচ্ছে না।