জুলাই ২৩, ২০২৫, ০২:০৯ পিএম
পাকিস্তানে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) ডজনেরও বেশি নেতাকর্মী ও সমর্থককে ১০ বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন দেশটির সন্ত্রাসবিরোধী আদালত। দণ্ডপ্রাপ্তদের মধ্যে পাঞ্জাব প্রাদেশিক পরিষদের বিরোধী দলীয় নেতা মালিক আহমদ ভাচার, একজন বর্তমান আইনপ্রণেতা, এক সাবেক সংসদ সদস্য এবং পাঞ্জাবের সাবেক গভর্নর ওমর সরফরাজ চিমা, সাবেক প্রাদেশিক মন্ত্রী ইয়াসমিন রাশিদ এবং বর্তমান সিনেটর ইজাজ আহমদ চৌধুরী উল্লেখযোগ্য। এই রায় পাকিস্তানের রাজনৈতিক পরিস্থিতিকে আরও অস্থিতিশীল করে তুলেছে এবং আন্তর্জাতিক মহলে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে।
আমাদের অনুসন্ধানে জানা গেছে, মঙ্গলবার (২২ জুলাই, ২০২৫) পাঞ্জাবের আইন উপমন্ত্রী আকিল মালিক এক সংবাদ সম্মেলনে মালিক আহমদ ভাচারের ১০ বছরের কারাদণ্ডের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। বুধবার (২৩ জুলাই, ২০২৫) এনডিটিভি এক প্রতিবেদনে এই খবর প্রকাশ করে। দণ্ডপ্রাপ্তরা প্রধানত পুলিশ ও বেসামরিক স্থাপনায় হামলার অভিযোগে অভিযুক্ত হয়েছেন। উল্লেখ্য, সামরিক স্থাপনায় হামলার অভিযোগে অভিযুক্তদের বিচার সামরিক আদালতে হচ্ছে।
রায় এবং পিটিআইয়ের প্রতিক্রিয়া
রায়ের পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মালিক আহমদ ভাচার জানান, তিনি ইমরান খানের প্রতি সমর্থন ত্যাগ করবেন না। পিটিআইয়ের একজন মুখপাত্র এএফপিকে জানিয়েছেন, মঙ্গলবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ভাচারকে গ্রেপ্তার করা হয়নি।
সর্গোদার একটি আদালত আরও একজন বর্তমান আইনপ্রণেতা, এক সাবেক সংসদ সদস্য এবং পিটিআইয়ের আরও ৩২ জন সমর্থককে সরকারি স্থাপনায় হামলার অভিযোগে ১০ বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছে। পাশাপাশি লাহোরের একটি আদালত লাহোরে দাঙ্গার ঘটনায় পিটিআইয়ের আরও ৮ জনকে ১০ বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছে।
তবে, সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মাহমুদ কোরেশি ও আরও পাঁচজনকে খালাস দেওয়া হয়েছে, যা কিছুটা স্বস্তি এনে দিয়েছে।
পিটিআই জানিয়েছে, তারা এই রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করবে। লন্ডনভিত্তিক পিটিআই মুখপাত্র সৈয়দ জুলফিকার বুখারি বলেছেন, এই মামলা ও রায় ‘প্রক্রিয়াগত ত্রুটি, পক্ষপাতদুষ্ট বিচার এবং সাংবিধানিক লঙ্ঘনের এক উদ্বেগজনক চিত্র তুলে ধরছে।’ তিনি আরও অভিযোগ করেন, এই মামলাগুলো ‘রাজনৈতিক নাটক, যা দ্রুত শেষ করার জন্য দিন-রাত শুনানি চলছে, এমনকি শনিবার রাত ১০টা ৪০ মিনিট পর্যন্তও।’
আপনার মতামত লিখুন: