আগস্ট ১৭, ২০২৫, ০৩:৪০ পিএম
পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখাওয়া প্রদেশে আকস্মিক বন্যা ও ভূমিধসের ফলে মৃতের সংখ্যা তিন শতাধিক ছাড়িয়েছে। প্রবল বৃষ্টিতে সৃষ্ট এই প্রাকৃতিক দুর্যোগে প্রদেশটির অবকাঠামো ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, এবং সড়ক ও রেল যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় পাকিস্তানের জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ (এনডিএমএ) ভ্রমণে সতর্কবার্তা জারি করেছে। এটি আন্তর্জাতিক অঙ্গনে একটি গভীর উদ্বেগের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।
এনডিএমএ পর্যটকদের অপ্রয়োজনীয় ভ্রমণ এড়িয়ে চলার পাশাপাশি ভূমিধস ও আকস্মিক বন্যার ঝুঁকি সম্পর্কে সচেতন থাকতে বলেছে। সংস্থাটি জানিয়েছে, তোরঘর, বাটগ্রাম, শাঙলা, লোয়ার কোহিস্তান, তত্তাপানি, গিলগিট ও হুনজাসহ বিভিন্ন এলাকায় বন্যা ও ভূমিধসের তীব্র ঝুঁকি রয়েছে।
এদিকে, পাঞ্জাবের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থা (পিডিএমএ) জানিয়েছে, ১৭ থেকে ২৩ আগস্ট পর্যন্ত পাঞ্জাব প্রদেশে আকস্মিক বন্যার আশঙ্কা রয়েছে। তাদের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, এই সময়ে পাঞ্জাবে প্রবল ঝড়ো বৃষ্টি এবং উত্তর পাঞ্জাবে মেঘ বিস্ফোরণের সম্ভাবনা রয়েছে। পিডিএমএ আরও পূর্বাভাস দিয়েছে যে, চেনাব ও ঝিলম নদীতে মাঝারি থেকে বড় ধরনের বন্যা হতে পারে।
প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় ত্রাণ ও উদ্ধার কার্যক্রম চলছে। পিডিএমএ-সহ সেনাবাহিনী, জেলা প্রশাসন, রেসকিউ ১১২২ এবং স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবকরা উদ্ধারকাজে নিয়োজিত রয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে এনডিএমএ'র একটি দল ত্রাণ কার্যক্রম তদারকির জন্য পেশোয়ারে পৌঁছেছে।
এনডিএমএ খাইবার পাখতুনখাওয়া ও পাঞ্জাবের প্রাদেশিক সরকারকে পূর্ণ সহযোগিতা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। সংস্থার বিবৃতিতে বলা হয়েছে, "আমরা প্রাদেশিক সরকারকে ত্রাণসামগ্রী সরবরাহ করছি এবং সব সংশ্লিষ্ট বেসামরিক ও সামরিক সংস্থার সঙ্গে পূর্ণ সমন্বয় বজায় রাখছি।"
এনডিএমএ জনগণকে বৃষ্টি ও বন্যার সময় সতর্ক থাকতে এবং আগামী পাঁচ থেকে ছয়দিন দুর্গত অঞ্চলে ভ্রমণ না করার আহ্বান জানিয়েছে।