শুক্রবার, ০৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ২১ ভাদ্র ১৪৩২

ভারত-চীন সম্পর্কের নতুন মোড়: পাকিস্তানকে কী বার্তা দিচ্ছে?

দিনাজপুর টিভি ডেস্ক

সেপ্টেম্বর ৪, ২০২৫, ১০:৪৬ এএম

ভারত-চীন সম্পর্কের নতুন মোড়: পাকিস্তানকে কী বার্তা দিচ্ছে?

ছবি - সংগৃহীত

চীনের তিয়ানজিনে সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশনের (এসসিও) সম্মেলনে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সাক্ষাৎ দুই দেশের সম্পর্কে এক নতুন মোড় তৈরি করেছে। এই সাক্ষাৎ এমন এক সময়ে হলো যখন ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যকার সম্পর্কে উত্তেজনা বিরাজ করছে।

সম্মেলনে নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বৈঠকের সময় শি জিনপিং বলেন, "বিশ্বের পরিস্থিতি বদলাচ্ছে। ভারত এবং চীন কেবল দুটি প্রাচীন সভ্যতা নয়, বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল দেশ এবং একইসঙ্গে গ্লোবাল সাউথের অংশও। ড্রাগন এবং হাতির একত্রিত হওয়া উচিত।"

একই সুরে নরেন্দ্র মোদি বলেন, "দুই দেশের সহযোগিতার সঙ্গে ২৮০ কোটি মানুষের স্বার্থ জড়িত। চীনের সঙ্গে সম্পর্ক আরও উন্নত করতে ভারত বদ্ধপরিকর।"

বিশেষজ্ঞদের মতে, অতীত সীমান্ত বিরোধের বদলে ভারত ও চীন এখন তাদের সম্পর্ক পুনর্গঠনের ওপর জোর দিচ্ছে। 'থিঙ্ক ট্যাঙ্ক চ্যাথাম হাউস'-এর ড. ক্ষিতিজ বাজপেয়ী বলেছেন, "বর্তমান বিশ্বে কী কী পরিবর্তন ঘটছে, তার ওপর দুই দেশের সম্পর্ক নির্ভর করে।"

ইন্টারন্যাশনাল মনিটারি ফান্ডের (আইএমএফ) তথ্য অনুযায়ী, ভারত বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনৈতিক শক্তি হওয়ার পথে এগোচ্ছে, অন্যদিকে চীন দ্বিতীয় বৃহত্তম। বেইজিং-ভিত্তিক 'ওয়েইসওয়া অ্যাডভাইজরির' প্রধান নির্বাহী চি-আন লিউ বলেন, এইবার বিশ্বের দ্বিতীয় ও তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির কীভাবে একসঙ্গে কাজ করতে পারে, তা দেখার সময় এসেছে।

তবে ভারত ও চীনের মধ্যে দীর্ঘদিনের অমীমাংসিত সীমান্ত বিরোধ ছাড়াও দালাই লামা এবং ব্রহ্মপুত্র নদের ওপর চীনের জলবিদ্যুৎ প্রকল্প নির্মাণ নিয়েও বিরোধ রয়েছে।

ভারত-চীনের এই ঘনিষ্ঠতা পাকিস্তানের জন্য এক নতুন বার্তা। এসসিও সম্মেলনে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফও উপস্থিত ছিলেন। তবে সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক আলোচনা হয়েছে যে চীন কার সঙ্গে বেশি ঘনিষ্ঠতা দেখাচ্ছে। সাম্প্রতিক সময়ে চীন পাকিস্তান, বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কাসহ বেশ কয়েকটি দেশের বড় বাণিজ্যিক অংশীদার হয়ে উঠেছে।