রবিবার, ২৭ জুলাই, ২০২৫, ১২ শ্রাবণ ১৪৩২

সরে যাও আনোয়ার’, মালয়েশিয়ায় পদত্যাগ দাবিতে বিক্ষোভ

দিনাজপুর টিভি ডেস্ক

জুলাই ২৬, ২০২৫, ০২:০৭ পিএম

সরে যাও আনোয়ার’, মালয়েশিয়ায় পদত্যাগ দাবিতে বিক্ষোভ

ছবি- সংগৃহীত

মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম ক্ষমতায় আসার আগে জনগণের কাছে অনেক প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ, দুর্নীতি দমন এবং জনগণের জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন। তবে ক্ষমতায় আসার ১৮ মাস পরও এসব প্রতিশ্রুতি পূরণ করতে ব্যর্থ হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এর ফলে জনগণের মধ্যে তীব্র অসন্তোষ তৈরি হয়েছে। এই অসন্তোষের ফলস্বরূপ, বিরোধী দলগুলোর নেতৃত্বে দেশজুড়ে বিক্ষোভ শুরু হয়েছে।

 মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমের পদত্যাগের দাবিতে রাজধানী কুয়ালালামপুরে হাজার হাজার মানুষ বিক্ষোভ করেছেন। শনিবার (২৬ জুলাই) 'তুঁউরুন আনোয়ার' (আনোয়ারকে সরিয়ে দাও) নামের এই র‍্যালিতে বিক্ষোভকারীরা স্লোগান দিয়েছেন, ‘সরে যাও আনোয়ার’। তারা আনোয়ার সরকারের বিরুদ্ধে নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি ভঙ্গের অভিযোগ তুলেছেন।

বিক্ষোভকারীরা সকালে কুয়ালালামপুরের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মারদেকা স্কয়ার ও এর আশেপাশের এলাকায় জড়ো হন। তাদের হাতে আনোয়ারের পদত্যাগ এবং দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণের দাবি সম্বলিত বিভিন্ন প্ল্যাকার্ড ও ব্যানার ছিল।





মালয়েশিয়ার গণমাধ্যম ‘ফ্রি মালয়েশিয়া টুডে’ এবং আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম ব্লুমবার্গ জানিয়েছে, আনোয়ার ইব্রাহিমের 'প্রতিশ্রুতি ভঙ্গই' এই বিক্ষোভের মূল কারণ। ক্ষমতায় আসার আগে তিনি যে সংস্কারের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, তা পূরণে ব্যর্থ হওয়ায় জনগণের মধ্যে তীব্র অসন্তোষ বিরাজ করছে। মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ, দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ এবং জনগণের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নে সরকারের ব্যর্থতা বিক্ষোভের প্রধান কারণ।

এই বিক্ষোভ এমন এক সময়ে হলো, যখন আনোয়ার সরকার ক্রমবর্ধমান জীবনযাত্রার ব্যয় মোকাবেলায় দেশের সব প্রাপ্তবয়স্ক নাগরিককে এককালীন নগদ অর্থ সহায়তা এবং জ্বালানির দাম কমানোর ঘোষণা দিয়েছে। তবে এই ঘোষণা বিক্ষোভকারীদের সন্তুষ্ট করতে পারেনি।

অর্থনীতিবিদ ও রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই বিক্ষোভ আনোয়ার সরকারের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ তৈরি করতে পারে। তাসমানিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের মালয়েশিয়ান রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক জেমস চিন বলেন, "মানুষ সত্যিই ক্ষুব্ধ কারণ জীবনযাত্রার ব্যয় সবাইকে ভোগাচ্ছে।"

এদিকে, এই বিক্ষোভকে কেন্দ্র করে শহরের বিভিন্ন স্থানে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। সরকার যেকোনো ধরনের সহিংসতা এড়াতে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।