সেপ্টেম্বর ১, ২০২৫, ০৭:১৬ পিএম
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচন ঘিরে বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন ঢাবি ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি মেঘমল্লার বসু। সোমবার (০১ সেপ্টেম্বর) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে এক দীর্ঘ পোস্টে তিনি অভিযোগ করেছেন যে, পুরো নির্বাচন প্রক্রিয়াটি একজন নির্দিষ্ট ব্যক্তিকে ভিপি বানানোর জন্য সাজানো হয়েছে। এর ফলে ডাকসু নির্বাচন নিয়ে নতুন করে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে।
মেঘমল্লার বসু তার পোস্টে নির্বাচন কমিশনের দেওয়া ছুটির সময় নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। তিনি বলেন, “সেপ্টেম্বরের ৫-৬ তারিখ শুক্র ও শনিবার। এরপর ৭ তারিখ থেকে পরীক্ষা ও ক্লাস বন্ধ। ৬ দিনের ছুটি দেওয়ার অর্থ হলো শিক্ষার্থীদের পক্ষান্তরে ট্যুর প্ল্যান করতে বলা।” এতে ৪০ হাজার শিক্ষার্থীর এক-তৃতীয়াংশও ভোট দিতে আসবে না বলে তিনি মনে করেন, যা একটি নির্দিষ্ট প্রার্থীর জন্য সুবিধাজনক হতে পারে। তিনি আরও অভিযোগ করেন, নারী শিক্ষার্থীদের হলে প্রচারণার জন্য নারী প্রার্থী ছাড়া অন্য কেউ ঢুকতে না পারায় তাদের প্রচারণা বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।
হাইকোর্টের আদেশে নির্বাচন স্থগিত হওয়ার পর চেম্বার আদালতের মাধ্যমে তা পুনর্বহাল হওয়ার ঘটনা নিয়েও মন্তব্য করেন মেঘমল্লার বসু। তিনি বলেন, শিবিরের প্রার্থীর বিরুদ্ধে অন্য একটি বাম সংগঠনের করা রিট আবেদনটি কোনো ফল আনবে না, বরং একে নির্বাচন ঠেকানোর ষড়যন্ত্র হিসেবে তুলে ধরা হবে। তিনি এটিকে ‘এটেনশান সিকারদের’ অদ্ভুত ও উৎকট কর্মকাণ্ড বলে আখ্যায়িত করেন, যা কেবল বিরোধী পক্ষের ভোট বাড়াবে। তিনি আরও উল্লেখ করেন যে, তিনি নিজে তিনটি ভিন্ন রাজনৈতিক পক্ষকে এই ধরনের রিট করা থেকে বিরত রেখেছিলেন।
নিজের নির্বাচনী প্রচারণার বিষয়ে হতাশা প্রকাশ করে মেঘমল্লার বসু বলেন, তিনি একজন ‘রাজনীতিবিদ’ নন, বরং একজন ‘বিদ্রোহী’। তিনি জানান, নির্বাচনের এই গুরুত্বপূর্ণ সময়ে তাকে হাসপাতালে ভর্তি হতে হচ্ছে। তিনি বলেন, এই নির্বাচন জেতা জরুরি নয়, বরং নিজেদের অবস্থান তৈরি করা এবং ‘প্রতিক্রিয়াশীল শক্তিকে’ ঠেকানো জরুরি। তিনি তার নীতি থেকে বিচ্যুত হবেন না বলে জানান এবং গণমাধ্যমকে ৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তাকে কল না করার অনুরোধ করেন।