রবিবার, ২৭ জুলাই, ২০২৫, ১২ শ্রাবণ ১৪৩২

দাওয়াত খাওয়ার পর যে দোয়া পড়বেন, জেনে নিন

দিনাজপুর টিভি ডেস্ক

জুলাই ২৭, ২০২৫, ১২:২৭ পিএম

দাওয়াত খাওয়ার পর যে দোয়া পড়বেন, জেনে নিন

ছবি- সংগৃহীত

ইসলামে মেহমানদারিকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি ইবাদত হিসেবে গণ্য করা হয়। এটি শুধু একটি সামাজিক প্রথা নয়, বরং এটি নবী রাসুল (সা.) এবং সাহাবায়ে কেরামের একটি মহান সুন্নত। মেহমানকে আপ্যায়ন করার যেমন সওয়াব রয়েছে, তেমনি মেহমানেরও কিছু কর্তব্য রয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম একটি কর্তব্য হলো দাওয়াত খাওয়ার পর মেজবানের জন্য দোয়া করা। এই দোয়াটি রাসূল (সা.) নিজে পড়েছিলেন, যা হাদিসে বর্ণিত হয়েছে।

দাওয়াত দেওয়া এবং মেহমানকে আপ্যায়ন করা একটি মহৎ কাজ, যা বিশ্বের প্রায় সব সংস্কৃতিতে বিদ্যমান। ইসলামে এর গুরুত্ব অপরিসীম। হাদিসে মেহমানদারির ব্যাপারে অসংখ্য নির্দেশনা এসেছে। হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত এক হাদিসে রাসুল (সা.) বলেন, “যে ব্যক্তি আল্লাহর প্রতি ও আখিরাত দিবসের প্রতি বিশ্বাস করে, সে যেন মেহমানের মেহমানদারি করে।” (সহিহ বুখারি, হাদিস : ৬৪৭৫)

 

মেহমানদারি যেমন মেজবানের জন্য সুন্নত, তেমনি মেহমানের জন্য দাওয়াত খেয়ে মেজবানের জন্য দোয়া করাও সুন্নত। একবার নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সাহাবি সাদ ইবনু উবাদাহ (রা.)-এর বাড়িতে গিয়ে খাবার গ্রহণ করেন। খাবার শেষে তিনি মেজবানের জন্য একটি বিশেষ দোয়া করেন।

দোয়াটি হলো: أَكَلَ طَعَامَكُمُ الْأَبْرَارُ، وَصَلَّتْ عَلَيْكُمُ الْمَلَائِكَةُ، وَأَفْطَرَ عِنْدَكُمُ الصَّائِمُونَ

উচ্চারণ: আকালা ত্বোয়ামাকুমুল আবরারু, ওয়া সল্লাত আলাইকুমুল মালাইকাতু, ওয়া আফতারা ইন্দাকুমুস সয়িমুন।

অর্থ: আল্লাহ করুন যেন নেককার লোকেরা তোমাদের খাবার খায়, ফেরেশতারা যেন তোমাদের জন্য ক্ষমা প্রার্থনার দোয়া করে এবং রোজাদারগণ যেন তোমাদের বাড়িতে ইফতার করে। (আবু দাউদ, হাদিস : ৩৮৫৪)

এই দোয়াটির মাধ্যমে মেহমান মেজবানের জন্য কল্যাণের প্রার্থনা করেন। এতে মেজবানের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ পায় এবং তাদের জন্য আল্লাহর রহমত ও ফেরেশতাদের দোয়া কামনা করা হয়। তাই দাওয়াত খেয়ে এই দোয়া পাঠ করা অত্যন্ত ফজিলতপূর্ণ একটি আমল।