আগস্ট ২৬, ২০২৫, ১০:৩৩ এএম
মানব জাতিকে আল্লাহ তাআলা বিভিন্ন শ্রেণীতে ভাগ করে দিয়েছেন, যেখানে কাউকে করা হয়েছে শাসক এবং কাউকে শাসিত। এই সুবিন্যস্ত পৃথিবী পরিচালনার জন্য আল্লাহ শাসকদের প্রতি ইনসাফভিত্তিক কার্য পরিচালনার নির্দেশ দিয়েছেন। ইসলামে ন্যায়পরায়ণতার গুরুত্ব অপরিসীম এবং এর প্রতিদানও অত্যন্ত মহৎ।
ইসলামী বিশ্বাস অনুযায়ী, শাসন ক্ষমতা আল্লাহ তায়ালার পক্ষ থেকে দেওয়া এক অপার নেয়ামত। আল্লাহ যাকে ইচ্ছা ক্ষমতা দান করেন এবং যার কাছ থেকে ইচ্ছা তা কেড়ে নেন। পবিত্র কুরআনে আল্লাহ তাআলা বলেছেন:
"বলো, হে সার্বভৌম শক্তির মালিক আল্লাহ! তুমি যাকে ইচ্ছা ক্ষমতা প্রদান করো এবং যার কাছ থেকে ইচ্ছা ক্ষমতা কেড়ে নাও; যাকে ইচ্ছা তুমি সম্মানিত করো আর যাকে ইচ্ছা তুমি হীন করো। কল্যাণ তোমার হাতেই। নিশ্চয়ই তুমি সব বিষয়ে সর্বশক্তিমান।" (সুরা আলে ইমরান: ২৬)
এই আয়াতটি শাসকদের স্মরণ করিয়ে দেয় যে তাদের ক্ষমতা ক্ষণস্থায়ী এবং সর্বশক্তিমান আল্লাহর ইচ্ছাধীন।
শাসকের মৌলিক দায়িত্ব হলো ন্যায়পরায়ণতার সঙ্গে জনগণের অধিকার নিশ্চিত করা এবং তাদের জানমালের নিরাপত্তা বিধান করা। আল্লাহ তাআলা পবিত্র কুরআনে ইনসাফের নির্দেশ দিয়েছেন:
"নিশ্চয়ই আল্লাহ ইনসাফ, দয়া এবং আত্মীয়-স্বজনকে (তাদের হক) প্রদানের হুকুম দেন আর অশ্লীলতা, মন্দ কাজ ও জুলুম করতে নিষেধ করেন। তিনি তোমাদেরকে উপদেশ দেন, যাতে তোমরা উপদেশ গ্রহণ কর।" (সুরা নাহ্ল: ৯০)
কিয়ামতের দিন যখন কোনো ছায়া থাকবে না, তখন আল্লাহ তাআলা তাঁর আরশের নিচে সাত শ্রেণির ব্যক্তিকে আশ্রয় দেবেন। তাদের মধ্যে প্রথমজন হবেন ন্যায়পরায়ণ শাসক।
হাদিসে বর্ণিত হয়েছে, আবু হুরাইরা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘আল্লাহ তাআলা সাত ব্যক্তিকে সেই দিনে তার (আরশের) ছায়া দান করবেন, যেদিন তার ছায়া ব্যতীত আর কোনো ছায়া থাকবে না; প্রথমজন হলেন ন্যায়পরায়ণ বাদশাহ (শাসক)।’ (বুখারি: ১৪২৩)।
এই হাদিসটি ন্যায়পরায়ণ শাসকের জন্য আখিরাতের বিশাল পুরস্কারের প্রতি ইঙ্গিত করে, যা তাদের দায়িত্ব পালনে আরও বেশি অনুপ্রাণিত করবে।