জুলাই ২৬, ২০২৫, ০৬:০৪ পিএম
ক্রিকেট বিশ্বে আন্তর্জাতিক সিরিজের সূচি নির্ধারণ করা একটি জটিল প্রক্রিয়া। ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যকার একটি সিরিজ বাতিল হলে তা উভয় দেশের ক্রিকেট বোর্ডের জন্যই নতুন করে পরিকল্পনা করার চাপ সৃষ্টি করে। সম্প্রতি ভারতের বাংলাদেশ সফর স্থগিত হওয়ায় এই শূন্যস্থান পূরণের জন্য বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) নতুন বিকল্প খুঁজছে। এই পরিস্থিতি বাংলাদেশের জন্য একটি সুযোগও তৈরি করেছে, যাতে তারা অপেক্ষাকৃত নতুন কিন্তু শক্তিশালী দলের বিপক্ষে খেলার মাধ্যমে নিজেদের প্রস্তুতি আরও শাণিত করতে পারে।
চলতি বছরের আগস্টে বাংলাদেশ সফরে আসার কথা ছিল ভারতীয় ক্রিকেট দলের। তবে শেষ মুহূর্তে ভারত বেঁকে বসায় সিরিজটি স্থগিত করা হয়েছে। ২০২৬ সালের সেপ্টেম্বরে এই সিরিজ আয়োজন করা হতে পারে বলে আনুষ্ঠানিকভাবে জানিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।
তিনটি ওয়ানডে ও তিনটি টি-টোয়েন্টি খেলার কথা ছিল এই সফরে। যেহেতু ভারত আসছে না, তাই এই সময়ে অন্য কোনো দলের বিপক্ষে সিরিজ খেলার পরিকল্পনা করছে বিসিবি। শনিবার বিসিবির ক্রিকেট অপারেশন্স চেয়ারম্যান নাজমুল আবেদিন ফাহিম জানিয়েছেন, নেপাল এবং নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে সিরিজ আয়োজন করার ব্যাপারে আলোচনা চলছে।
ফাহিম বলেন, “বেশিরভাগ দেশেরই নির্ধারিত সিরিজ আছে। আমাদেরও তো ভারতের সঙ্গে সিরিজ ছিল। আমাদের পরিকল্পনা ছিল ওটা খেলে এশিয়া কাপে যাব। যেহেতু ভারত এখন আসছে না, আমরা চেষ্টা করছি অন্য কোনো দেশকে আনা যায় কি না। প্রথম সারির কোনো দেশ এখন অ্যাভেইলেবল না কারণ তাদের নির্ধারিত প্রোগ্রাম আছে। আমরা অন্য কোনো দেশ, সেটা হতে পারে নেদারল্যান্ডস, হতে পারে নেপালের সঙ্গে সিরিজ আয়োজনের একটা চেষ্টা করে যাচ্ছি।”
তবে বিদেশি দল না পাওয়া গেলে বিকল্প পরিকল্পনাও সাজিয়ে রেখেছে বিসিবি। ফাহিম বলেন, “যদি বিদেশি দল না পাই সেক্ষেত্রে আমরা এখন থেকেই ভাবছি জাতীয় দল যখন বাইরে খেলতে যাবে তখন জাতীয় দলের কাছাকাছি সবচেয়ে ভালো যে দল তাদের সঙ্গে একটা সিরিজ খেলব। তাতে জাতীয় দলের একটা ভালো প্রস্তুতি হবে আর যারা সামনে জাতীয় দলে আসছে তাদের জন্যও প্রতিযোগিতার ভালো সুযোগ হবে।”
এদিকে, প্রধান কোচ ফিল সিমন্স ১৫ আগস্ট বাংলাদেশে ফিরবেন। পাকিস্তান সিরিজ শেষ করে ক্রিকেটাররা বর্তমানে নিজ নিজ পরিবারের সঙ্গে সময় কাটাচ্ছেন। কোচিং স্টাফরাও রয়েছেন ছুটির আমেজে।
আপনার মতামত লিখুন: