আগস্ট ৪, ২০২৫, ১০:৪৩ এএম
ঘরোয়া ক্রিকেটে দারুণ পারফর্ম করেও আন্তর্জাতিক মঞ্চে অনেক সময় ব্যর্থ হন বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা। এই সমস্যা সমাধানের জন্য দেশের ঘরোয়া ক্রিকেটে ধারাবাহিকতা এবং প্রতিযোগিতা বাড়ানো জরুরি বলে মনে করছেন বিসিবি কোচ সোহেল ইসলাম। তিনি বলেন, 'বড় রান করা, ব্যাক টু ব্যাক রান করা - এগুলো অভ্যাসের ব্যাপার, যা আমাদের ক্রিকেটারদের মধ্যে এখনো তৈরি হয়নি।'
দীর্ঘদিন ধরেই বাংলাদেশের ক্রিকেটপ্রেমীরা তারকা ক্রিকেটারদের ধারাবাহিকতার অভাব নিয়ে আলোচনা করছেন। ঘরোয়া ক্রিকেটে শতকের পর শতক হাঁকালেও, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এসে অনেকেই যেন নিজেদের হারিয়ে ফেলেন। এই সমস্যাটি সম্প্রতি আরও প্রকট হয়েছে, যখন ভারত ও ইংল্যান্ডের মতো দেশের খেলোয়াড়রা এক সিরিজে একাধিক সেঞ্চুরি করছেন, অথচ বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা এক ম্যাচে ভালো করার পর পরের ম্যাচেই ব্যর্থ হচ্ছেন।
রোববার মিরপুরে গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে বিসিবি কোচ সোহেল ইসলাম বলেন, "একজন খেলোয়াড় যখন জাতীয় দলে সুযোগ পেতে চায়, তখন তাকে ধারাবাহিকভাবে পারফর্ম করতে হয়। কিন্তু আমাদের দেশে আমরা সাধারণত দু'একটি ভালো পারফরম্যান্স দেখেই খেলোয়াড়দের বিচার করি। আমাদের ঘরোয়া ক্রিকেটে ধারাবাহিকতা কম। যখন এই ধারাবাহিকতা বাড়বে এবং প্রতিযোগিতা বাড়বে, তখনই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আমাদের ক্রিকেটাররা ভালো করবে।"
তিনি আরও বলেন, "আমাদের ক্রিকেট সংস্কৃতিতে পরিবর্তন আনা জরুরি। ভারতের ঘরোয়া ক্রিকেটে একটি সেঞ্চুরি বা ডাবল সেঞ্চুরি খুব সাধারণ ঘটনা। কিন্তু আমাদের এখানে একটি সেঞ্চুরি করলেই খেলোয়াড় থেকে শুরু করে কোচ, সবাই সন্তুষ্ট হয়ে যায়। আমাদের দেখতে হবে একজন খেলোয়াড় কতটা ধারাবাহিকভাবে রান করছে।"
সোহেল ইসলাম ভারতের ঋষভ পন্ত এবং বাংলাদেশের নাজমুল হোসেন শান্তর উদাহরণ টেনে এই পার্থক্য তুলে ধরেন। সম্প্রতি ইংল্যান্ডের বিপক্ষে লিডস টেস্টে পন্ত দুই ইনিংসেই সেঞ্চুরি করেন। এর পরের টেস্টেও তিনি অর্ধশতকের ইনিংস খেলেন। কিন্তু নাজমুল হোসেন শান্ত, যিনি শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে গল টেস্টের দুই ইনিংসেই সেঞ্চুরি করেছিলেন, পরের টেস্টের দুই ইনিংসেই ব্যর্থ হন। সোহেল বলেন, বাংলাদেশের ব্যাটারদের এই মানসিকতা থেকে বের করে আনার চেষ্টা চলছে।