সোমবার, ১১ আগস্ট, ২০২৫, ২৭ শ্রাবণ ১৪৩২

‘ভারত-বাংলাদেশ ম্যাচে সব সময়ে লড়াই হয়’

দিনাজপুর টিভি ডেস্ক

আগস্ট ১০, ২০২৫, ০৫:২৮ পিএম

‘ভারত-বাংলাদেশ ম্যাচে সব সময়ে লড়াই হয়’

ছবি-দিনাজপুর টিভি

একসময় এশিয়ার ক্রিকেটে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ মানেই ছিল তুমুল উত্তেজনা। কিন্তু রাজনৈতিক বৈরিতার কারণে ২০১৩ সালের পর থেকে দ্বিপাক্ষিক সিরিজ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় সেই উন্মাদনা এখন আর নেই। ভারত-পাকিস্তান ম্যাচের সেই উত্তেজনা এখন অনেকটাই ভারত-বাংলাদেশ ম্যাচের মধ্য দিয়ে দেখা যায়। বিশেষ করে ২০১৫ সালে বাংলাদেশের পেস বোলার মোস্তাফিজুর রহমানের অভিষেকের পর থেকে এই প্রতিদ্বন্দ্বিতা আরও বেড়েছে। অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ এবং এমার্জিং এশিয়া কাপেও এর প্রভাব দেখা গেছে। সম্প্রতি, এমার্জিং এশিয়া কাপে বাংলাদেশ দলের ক্রিকেটার সৌম্য সরকারের সঙ্গে বিতর্কে জড়িয়েছিলেন ভারতীয় ক্রিকেটার হর্ষিত রানা। সেই ঘটনার পর তিনি এক পডকাস্টে ভারত-বাংলাদেশ ম্যাচ নিয়ে তার অভিজ্ঞতার কথা জানিয়েছেন।

ক্রিকেটে ভারত-বাংলাদেশ ম্যাচ মানেই এখন তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বিতা আর রোমাঞ্চ। এমার্জিং এশিয়া কাপে বাংলাদেশ দলের ক্রিকেটার সৌম্য সরকারের সঙ্গে মাঠে বিবাদে জড়িয়ে পড়া ভারতীয় ক্রিকেটার হর্ষিত রানা সম্প্রতি এক পডকাস্ট চ্যানেলে এই বিষয়ে কথা বলেছেন। তিনি স্পষ্টভাবেই বলেছেন, “ভারত-বাংলাদেশ ম্যাচে সব সময়ে লড়াই হয়।”

হর্ষিত রানা জানান, যখন তিনি এবং যশ ধুল ব্যাটিং করছিলেন, তখন বাংলাদেশি ক্রিকেটাররা তাদের স্লেজিং করছিলেন। সৌম্য সরকারের সঙ্গে তার ঝামেলার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “সৌম্য একজন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার ছিলেন, আর আমরা ছিলাম অনূর্ধ্ব-২৩ দলের ক্রিকেটার। ভিডিওটা দেখলে বুঝতে পারবেন, আমি নিজের মতো উদযাপন করছিলাম। সৌম্য আমাকে কিছু একটা বলেছিল। সেখান থেকেই কথা কাটাকাটির শুরু।”

এই উত্তেজনা কেবল পেশাদার ক্রিকেটেই সীমাবদ্ধ নয়, বয়সভিত্তিক দলেও এর প্রভাব পড়েছে। ২০২০ সালে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে শক্তিশালী ভারতকে হারিয়ে প্রথমবারের মতো চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল বাংলাদেশ। সেই জয় দুই দেশের ক্রিকেটীয় প্রতিদ্বন্দ্বিতাকে আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।

হর্ষিত রানার মন্তব্য থেকে বোঝা যায় যে, ভারত-পাকিস্তান ম্যাচের উত্তেজনা এখন ভারত-বাংলাদেশ ম্যাচে স্থান করে নিয়েছে। ক্রিকেটপ্রেমীরা এই দুই দেশের খেলা দেখার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করেন, কারণ তারা জানেন, প্রতিটি ম্যাচই উত্তেজনা আর রোমাঞ্চে ভরপুর হবে।