রবিবার, ১৭ আগস্ট, ২০২৫, ২ ভাদ্র ১৪৩২

মেসি-নেইমারকে খোঁচা: নতুন বিতর্কে মুলার

স্পোর্টস ডেস্ক

আগস্ট ১৬, ২০২৫, ১০:১৪ এএম

মেসি-নেইমারকে খোঁচা: নতুন বিতর্কে মুলার

ছবি- সংগৃহীত

বায়ার্ন মিউনিখ ছেড়ে সম্প্রতি কানাডিয়ান ক্লাব ভ্যানকুভার হোয়াইটক্যাপস এফসিতে যোগ দিয়েছেন জার্মান ফরোয়ার্ড থমাস মুলার। মেজর লিগ সকারে (এমএলএস) এখন তার নতুন ঠিকানা ইন্টার মায়ামির লিওনেল মেসি। মাঠে মেসি-মুলার দ্বৈরথ দেখার আগেই মুলার তার নতুন বইয়ে দুই লাতিন মহাতারকা মেসি ও নেইমারকে ব্যঙ্গ করে নতুন বিতর্কের জন্ম দিয়েছেন।


ফুটবল বিশ্বে দুই মহাতারকা লিওনেল মেসি ও নেইমারকে নিয়ে বিতর্ক নতুন কিছু নয়। তবে শিশুদের জন্য লেখা একটি বইয়ে দুই তারকাকে ব্যঙ্গ করে কার্টুন প্রকাশ করায় ফুটবলপ্রেমীদের মধ্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। মুলারের এই কাজটি তার হাস্যরস ও কৌতুকের পরিচিতি ছাড়িয়ে গেছে বলে মনে করা হচ্ছে। বিশেষ করে যখন তিনি এমএলএস-এ মেসির মুখোমুখি হতে চলেছেন, তখন এমন একটি ঘটনা পরিস্থিতিকে আরও উত্তপ্ত করে তুলেছে।

এ মাসেই প্রকাশিত জার্মান তারকা থমাস মুলারের বইটির নাম ‘থমাস মুলার: মাই হিডেন অবজেক্টস বুক’। ১৬ পৃষ্ঠার এই বইটিতে মুলারের ক্যারিয়ারের স্মরণীয় আটটি মুহূর্তকে মজার কার্টুনের মাধ্যমে তুলে ধরা হয়েছে। শিশুদের বিনোদনের জন্য এই ছবিতে মজার মজার ক্যাপশনও জুড়ে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু মেসি ও নেইমারের ভক্তরা এই হাস্যরস সহজে মেনে নিতে পারছেন না।

  • মেসিকে নিয়ে কার্টুন: ২০১০ সালের বিশ্বকাপ কোয়ার্টার ফাইনালে জার্মানি ৪-০ গোলে মেসির আর্জেন্টিনাকে হারিয়েছিল। সেই ম্যাচের একটি কার্টুন ছবিতে দেখানো হয়েছে, জার্মান খেলোয়াড়রা জয়ের উল্লাস করছে, আর মেসি মাথা নিচু করে মাঠে বসে আছেন। গ্যালারির বড় পর্দায় টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ গোলদাতা হিসেবে মুলারের নাম লেখা দেখা যাচ্ছে।

  • নেইমারকে নিয়ে কার্টুন: ২০২০ সালের চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফাইনালে বায়ার্ন মিউনিখের কাছে পিএসজি ১-০ গোলে হেরেছিল। সেই ম্যাচের একটি কার্টুনে দেখা যায়, নেইমার মাঝ মাঠে বসে কাঁদছেন এবং তাকে নিয়ে যেতে স্ট্রেচার হাতে চিকিৎসাকর্মীরা হাজির হয়েছেন।

মুলারের এই বই প্রকাশের পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক আলোচনা শুরু হয়েছে। মেসির ভক্তরা এটিকে 'নির্মম' ও 'অসংবেদনশীল' বলে আখ্যা দিয়েছেন। অনেকেই মনে করছেন, একজন পেশাদার খেলোয়াড় হিসেবে তার এই ধরনের ব্যক্তিগত আক্রমণ করা উচিত হয়নি। ফুটবল বিশ্লেষকরাও এই বিতর্ককে অনভিপ্রেত বলে মনে করছেন। তাদের মতে, এটি ফুটবলের স্পোর্টসম্যানশিপের নীতির পরিপন্থী।