মঙ্গলবার, ০২ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ১৮ ভাদ্র ১৪৩২

নার্সিংয়ের ছাত্রী হয়েও ফেন্সিংয়ে আলো ছড়াচ্ছেন ইশা রায়

দিনাজপুর টিভি ডেস্ক

আগস্ট ৩১, ২০২৫, ১০:২৯ এএম

নার্সিংয়ের ছাত্রী হয়েও ফেন্সিংয়ে আলো ছড়াচ্ছেন ইশা রায়

ছবি- সংগৃহীত

হাসপাতালে রোগীর সেবার পাশাপাশি হাতে তরবারি তুলে নিয়েছেন এমিলি রায় ইশা। পেশায় নার্সিংয়ের ছাত্রী হয়েও তিনি দেশের ফেন্সিং জগতে এক উজ্জ্বল নক্ষত্র হিসেবে আলো ছড়াচ্ছেন। সম্প্রতি শেষ হওয়া জুলাই রেভ্যুলেশন ফেন্সিং চ্যাম্পিয়নশিপে ব্রোঞ্জ পদক জিতেছেন তিনি। তার এই সাফল্য প্রমাণ করে যে, একাগ্রতা থাকলে যেকোনো বাধাকেই অতিক্রম করা সম্ভব।

মিরপুর ফেন্সিং ক্লাবের হয়ে খেলার পর এবার আনসারের জার্সিতে ফেন্সিং চ্যাম্পিয়নশিপে মেয়েদের ফয়েল এককে ব্রোঞ্জ জিতেছেন ইশা। এই পদক জিতে তিনি সন্তুষ্ট না হলেও তার পারফরম্যান্স এতটাই দুর্দান্ত ছিল যে দক্ষিণ এশিয়ান গেমসের (এসএ গেমস) জন্য জাতীয় দলের ক্যাম্পে ডাক পেয়েছেন তিনি। ক্যাম্পের একমাত্র জুনিয়র খেলোয়াড় হিসেবে তার এই ডাক পাওয়া এক অসাধারণ কীর্তি।

ইশা জানান, “আমি নিজের খেলায় সন্তুষ্ট নই। যেভাবে অনুশীলনে খেলি সেভাবে খেলতে পারিনি। সিনিয়রদের হারাতে পারব কি না এই ভয় কাজ করছিল।”

২০২১ সালে মিরপুর বাঙলা কলেজে উচ্চ মাধ্যমিকে পড়ার সময় ফেন্সিংয়ের প্রেমে পড়েন ইশা। ২০২২ সালে প্রথম জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপে অংশ নিয়েই জুনিয়র বিভাগে সোনা জেতেন। মেয়ের সাফল্যে প্রথম দিকে অসন্তুষ্ট বাবা রিচার্ড রায় এখন গর্বিত। তিনি বলেন, “যখন দেখলাম যে আমি নিয়মিত ভালো করছি তখন বাবা সাহস জোগাতেন। আমি খারাপ খেললে কষ্ট পান।”

মিরপুরের সাইক নার্সিং কলেজের ছাত্রী ইশা পড়াশোনা ও খেলা দুটোই সমানভাবে চালিয়ে যাচ্ছেন। তিনি বলেন, “কলেজে ৮০ ভাগ ক্লাসে উপস্থিত থাকতে হয়। যদিও পড়াশোনায় আমি ভালো। খেলা ও পড়া দুটোই সমানভাবে চালিয়ে যাচ্ছি।” তবে ইশার কাছে ফেন্সিং ভালোবাসা হলেও বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে নার্সিংকেই পেশা হিসেবে বেছে নিতে চান তিনি। তার স্বপ্ন এসএ গেমসে বাংলাদেশের হয়ে সোনা জেতা এবং জাতীয় সংগীত বাজানোর মুহূর্ত উপভোগ করা।