আগস্ট ১, ২০২৫, ০২:৩৩ পিএম
ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলার ময়লাকান্দা ইউনিয়নের কৃষক সাইফুল ইসলাম তার এলাকায় প্রথমবার ‘বুলেট মরিচ’ চাষ করে ব্যাপক সাফল্য অর্জন করেছেন। তার এই ব্যতিক্রমী উদ্যোগ এলাকার কৃষকদের মধ্যে ব্যাপক আগ্রহ সৃষ্টি করেছে।
চার মাস আগে সাইফুল ইসলাম সিনজেনটা নামক একটি কোম্পানির বিক্রয় প্রতিনিধির কাছ থেকে এই নতুন জাতের মরিচের বীজ সংগ্রহ করেন। তিনি তার বাড়ির পাশে ১০ শতক জমিতে মালচিং পদ্ধতি ব্যবহার করে ৬০০টিরও বেশি মরিচের চারা রোপণ করেন। তিন মাস পর থেকেই গাছগুলোতে ফলন আসতে শুরু করে। কোম্পানির তথ্য অনুযায়ী, সঠিক পরিচর্যা করলে এই মরিচ গাছ তিন বছরেরও বেশি সময় ধরে ফলন দিতে পারে।
এই মরিচ দেখতে লম্বা, সরু এবং অনেকটা বুলেটের মতো হওয়ায় এর নাম হয়েছে ‘বুলেট মরিচ’। এটি স্থানীয় জাতের মরিচের চেয়ে অনেক বেশি ঝাল এবং এর তীব্র সুগন্ধ রয়েছে। একজন স্থানীয় ব্যবসায়ী জানান, যে পরিমাণ খাবারে দশটি স্থানীয় মরিচ লাগে, সেখানে মাত্র দুই থেকে তিনটি বুলেট মরিচই যথেষ্ট। এর আকার ও ঝালের কারণে বাজারে এর ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। পাইকারি বিক্রেতারা সরাসরি ক্ষেত থেকে ১৩০ থেকে ১৪০ টাকা কেজি দরে এই মরিচ কিনছেন, যদিও বাজারভেদে দাম ওঠানামা করে।
সাইফুল ইসলামের প্রাথমিক বিনিয়োগ ছিল প্রায় ১ লক্ষ টাকা। প্রথম তিন মাসেই তিনি ১৫ হাজার টাকার মরিচ বিক্রি করেছেন। তিনি আশা করেন, যদি আবহাওয়া প্রতিকূল না হয় এবং ফসলের সঠিক যত্ন নেওয়া যায়, তবে তিন বছরে কয়েক লক্ষ টাকা আয় করা সম্ভব।
কৃষি কর্মকর্তারা জানান যে, বর্ষাকালে সবুজ মরিচের দাম বেশি থাকায় কৃষকদের উঁচু জমিতে মরিচ চাষের জন্য উৎসাহিত করা হয়। সাইফুল ইসলামের মতো কৃষকদের এই ধরনের উদ্যোগ অন্যদেরও অনুপ্রাণিত করবে বলে তারা মনে করেন।