আগস্ট ৪, ২০২৫, ০৩:২০ পিএম
কক্সবাজার জেলার মহেশখালী উপজেলায় মিষ্টি পানের চাষ কৃষকদের জন্য আর্থিক সাফল্যের এক নতুন দিগন্ত খুলে দিয়েছে। মহেশখালীর এই মিষ্টি পান তার কম ঝাঁঝ এবং বড় আকারের জন্য দেশ-বিদেশে ব্যাপক চাহিদা তৈরি করেছে।
মহেশখালীর কয়েকশ পরিবার তিন থেকে চার প্রজন্ম ধরে পানের চাষ করে আসছে। একটি পানের গাছ একবার রোপণ করার পর দুই বছর পর্যন্ত ফলন দিতে পারে। কৃষকরা তাদের পান ক্ষেত বা 'বরজ' থেকে মাসে তিন থেকে চার বার পান সংগ্রহ করেন।
অর্থনৈতিক তথ্য ও পরিসংখ্যান:
-
আয়: ১ থেকে ১.৫ বিঘা জমিতে পানের চাষ করে একজন কৃষক মাসে ১ লাখ টাকার বেশি আয় করতে পারেন।
-
প্রতিবার সংগ্রহের আয়: প্রতিবার পান সংগ্রহের পর পাইকারি বিক্রেতাদের কাছে ৪০,০০০ থেকে ৫০,০০০ টাকার পান বিক্রি করা যায়।
-
মাসিক আয়: এক বিঘা জমির একটি বরজ থেকে মাসিক ১ লক্ষ থেকে ১.৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয় করা সম্ভব।
-
পানের দাম: প্রতিটি পান বিক্রি হয় ১.৫ থেকে ২ টাকা দরে।
একজন উদ্যোক্তা কাজল বলেন, "পানের গাছের প্রতিটি পাতায় পাতায় টাকা থাকে।" তিনি আরও বলেন, "বর্ষার দিনেও যখন তারা বাড়িতে ঘুমিয়ে থাকে, তখনও গাছ থেকে আয় আসতেই থাকে।"
পানের চাষে বিশেষ যত্নের প্রয়োজন হয়, যেমন অতিরিক্ত বৃষ্টি বা সূর্যের আলো থেকে গাছকে রক্ষা করা। যখন একটি গাছ খুব বড় হয়ে যায়, তখন তাকে ছেঁটে পুনরায় রোপণ করতে হয়। এই কাজটি এক থেকে দুই বছর পর পর করা হয়।
মহেশখালীর অনেক পরিবার শক্তি ফাউন্ডেশন থেকে আর্থিক সহায়তা পাচ্ছে, যা তাদের পান বরজ স্থাপনের প্রাথমিক খরচ মেটাতে এবং সাপ্তাহিক বা মাসিক কিস্তিতে ঋণ পরিশোধ করতে সাহায্য করছে। মহেশখালীর পান সৌদি আরব, মালয়েশিয়া এবং দুবাই সহ বিভিন্ন দেশে রপ্তানি হয়। দেশের ভেতরে চট্টগ্রাম এবং ঢাকার মতো বড় শহরেও এর ব্যাপক চাহিদা রয়েছে।