আগস্ট ৩১, ২০২৫, ০৯:২২ এএম
তানোরের চৌবাড়িয়া, তালন্দ, কেশরহাট, ধুরইল ও সাবাইহাটের মতো বিভিন্ন বাজারে সার ব্যবসায়ীরা সরকারের নির্ধারিত দামের চেয়ে অতিরিক্ত দামে সার বিক্রি করছেন। কৃষকদের কাছে কোনো বিক্রয় রসিদ দেওয়া হচ্ছে না, আর দিলেও তাতে লেখা হচ্ছে না প্রকৃত মূল্য। কেউ এর প্রতিবাদ করলে তাকে চাহিদামতো সার দেওয়া হচ্ছে না।
কৃষকরা বলছেন, ডিলাররা সারের সংকট দেখিয়ে দাম দ্বিগুণ করেছেন। সরকারের নির্ধারিত মূল্য অনুযায়ী, খোলাবাজারে এমওপি ১ হাজার টাকা, ডিএপি ১ হাজার ৫০ টাকা এবং টিএসপি ১ হাজার ৩৫০ টাকা। কিন্তু এসব সার এর চেয়ে অনেক বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে। এই সিন্ডিকেটচক্র পাশের উপজেলা মোহনপুর ও মান্দা থেকে চোরাপথে প্রতিদিন ট্রলিতে করে সার নিয়ে আসছে বলেও অভিযোগ রয়েছে।
সার সংকটের জন্য বিসিআইসি ডিলাররা আমদানিকারক ফায়েজ ট্রেডিংকে দায়ী করছেন। তাদের অভিযোগ, কালো টাকার প্রভাবে ফায়েজ ট্রেডিং কর্তৃপক্ষ চলতি মাসের শুরু থেকে সারের সরবরাহ বিলম্বিত করেছে। ফলে ডিলাররা সময়মতো সার পাচ্ছেন না। অন্যদিকে, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সাইফুল্লাহ আহমেদ বলেছেন, সরকারিভাবে এবার টিএসপি ও এমওপি সারের বরাদ্দ কমিয়ে ডিএপি সারের বরাদ্দ বাড়ানো হয়েছে। কিন্তু এতে সারের সংকট হওয়ার কথা নয়।
তিনি আরও বলেন, কৃষকরা টিএসপি সারের প্রতি বেশি ঝুঁকেছেন। আমরা তাদের টিএসপির বদলে ডিএপি ব্যবহারে উৎসাহিত করছি। নিয়মিত বাজার তদারকি করা হচ্ছে এবং কোনো ডিলার বেশি দামে সার বিক্রি করলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তবে, কৃষকদের অভিযোগ, যেখানে বিসিআইসি ডিলাররা সার দিতে পারছেন না, সেখানে চোরাপথে কীভাবে সার আসছে, তা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।