রবিবার, ২৭ জুলাই, ২০২৫, ১২ শ্রাবণ ১৪৩২

ময়মনসিংহে ডিসির সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে মাদরাসা শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

দিনাজপুর টিভি ডেস্ক

জুলাই ২৬, ২০২৫, ০১:৫৬ পিএম

ময়মনসিংহে ডিসির সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে মাদরাসা শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

ছবি- সংগৃহীত

ময়মনসিংহের ঐতিহাসিক বড় মসজিদ ও মাদরাসার একজন শিক্ষক মাওলানা আজিজুল হকের বিরুদ্ধে শিশু বলৎকার এবং অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ ছিল, যার কারণে তাকে বহিষ্কার করা হয়। কিন্তু মাদরাসার পরিচালনা কমিটির সভাপতি হিসেবে জেলা প্রশাসক (ডিসি) মো. মুফিদুল আলম একটি তদন্তের পর সেই বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করে নেন। একই সঙ্গে, তিনি মাদরাসার অন্য দুজন শিক্ষক মুফতি মোফাজ্জল হক ও মুফতি সারোয়ার হোসেনকে পদ থেকে সরিয়ে দেন। ডিসির এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে শিক্ষার্থীরা রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ শুরু করে।

 ময়মনসিংহের ঐতিহাসিক বড় মসজিদ ও মাদরাসার শিক্ষার্থীদের টানা ৩ ঘণ্টার সড়ক অবরোধ ও বিক্ষোভের ফলে নগরীতে তীব্র যানজট ও জনদুর্ভোগ সৃষ্টি হয়েছে। মাদরাসার পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও জেলা প্রশাসক (ডিসি) মো. মুফিদুল আলমের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে শনিবার (২৬ জুলাই) সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা নগরীর পাটগুদাম থেকে কাচারি সড়কে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করে।




আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা জানায়, মাদরাসা থেকে বহিষ্কৃত শিক্ষক মাওলানা আজিজুল হককে ডিসি পুনরায় বহাল করেছেন। তার বিরুদ্ধে শিশু বলৎকার ও শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ ছিল। ডিসি একই সঙ্গে মাদরাসার জনপ্রিয় শিক্ষক মুফতি মোফাজ্জল হককে বহিষ্কার এবং উপাধ্যক্ষ মুফতি সারোয়ার হোসেনকে পদ থেকে অপসারণ করেছেন। এতে ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে রাজপথে নেমে আসে।

বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থী তাওহীদুল ইসলাম ও নাজমুস সাকিব বলেন, "একটি মহল বহিষ্কৃত শিক্ষক আজিজুল হকের পক্ষে অবস্থান নিয়ে আমাদের মূল ঘটনাটি পাশ কাটিয়ে ডিসিকে ভুল বুঝিয়েছে। এর ফলে ডিসি প্রভাবিত হয়ে একজন শিশু নির্যাতনকারী শিক্ষকের পক্ষ নিয়েছেন এবং আমাদের প্রিয় শিক্ষকদের অন্যায়ভাবে অপসারণ করেছেন।" তারা আরও অভিযোগ করেন যে, ডিসি তাদের শিক্ষকদের শাসিয়ে অপমান করেছেন। তারা অবিলম্বে ডিসিকে তার সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসার জন্য হুঁশিয়ারি দেন এবং তা না হলে আরও কঠোর আন্দোলনের হুমকি দেন।

অন্যদিকে সংশ্লিষ্ট সূত্রের দাবি, মাদরাসার বড় হুজুর মাওলানা আব্দুল হক প্রতিষ্ঠানের নীতিমালা উপেক্ষা করে পরিবারতন্ত্র কায়েম করেছেন। আর এ কারণেই বেশ কয়েক দফা পরিচালনা কমিটির সঙ্গে তার বিরোধ সৃষ্টি হয়েছে। ডিসি সম্ভবত এই পারিবারিক আধিপত্য ভাঙতেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

ঘটনার বিষয়ে জানতে জেলা প্রশাসক (ডিসি) মো. মুফিদুল আলমের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

তবে সড়ক অবরোধের সত্যতা নিশ্চিত করে কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শিবিরুল ইসলাম জানিয়েছেন, তারা মাদরাসা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছেন এবং আশা করছেন খুব দ্রুত এই সমস্যার সমাধান হবে।