মঙ্গলবার, ১২ আগস্ট, ২০২৫, ২৭ শ্রাবণ ১৪৩২

ঢাকায় জাতিসংঘ মানবাধিকার অফিসের অনুমোদন বাতিলে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম

দিনাজপুর টিভি ডেস্ক

আগস্ট ১০, ২০২৫, ০৫:১৭ পিএম

ঢাকায় জাতিসংঘ মানবাধিকার অফিসের অনুমোদন বাতিলে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম

ছবি- সংগৃহীত

ঢাকায় জাতিসংঘের মানবাধিকার অফিস স্থাপনের তীব্র বিরোধিতা করে এর অনুমোদন বাতিলের জন্য ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা। দাবি মানা না হলে দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে সঙ্গে নিয়ে লাগাতার কঠোর কর্মসূচি ঘোষণার হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন তারা।

রবিবার (১০ আগস্ট, ২০২৫) বিকেল ৪টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে "ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা" ব্যানারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এই আল্টিমেটাম দেওয়া হয়। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন আয়োজক ঢাবি শিক্ষার্থী জিয়াউল হক

জিয়াউল হক তার বক্তব্যে বলেন, অতীতে বিভিন্ন এনজিওর অর্থায়নে স্কুল সিলেবাসে ‘শরীফ-শরীফার গল্প’ ঢুকিয়ে ট্রান্সজেন্ডার বা সমকামিতাকে বৈধ করার চেষ্টা হয়েছিল। তিনি অভিযোগ করেন, জাতিসংঘের মানবাধিকার অফিসের ওয়েবসাইটে এলজিবিটিকিউ বা সমকামিতাকে ‘অধিকার’ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে তা প্রমোট করার কথা উল্লেখ রয়েছে। শিক্ষার্থীদের মতে, এই অফিস বাংলাদেশে থাকলে স্কুল-কলেজ থেকে শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায় পর্যন্ত পাঠ্যক্রমে সমকামিতার অন্তর্ভুক্তি বাধ্যতামূলক হয়ে যাবে, যা দেশের মূল্যবোধ, সামাজিক কাঠামো ও পারিবারিক ব্যবস্থাকে ধ্বংস করবে।

তিনি আরও আশঙ্কা প্রকাশ করেন যে, এর ফলে অঙ্গহানির মাধ্যমে লিঙ্গ পরিবর্তনের প্রবণতা বাড়বে, শিক্ষার্থীদের মানসিক বিকৃতি দেখা দেবে এবং অভিভাবকরা সন্তানদের নৈতিক অধঃপতনে হতাশ হয়ে পড়বেন। একইসঙ্গে, পুনরায় কোটা প্রথা ফিরিয়ে এনে ট্রান্সজেন্ডার/সমকামী কোটার পাশাপাশি ‘সমকামী ইমাম’ কোটাও চালু হতে পারে বলে তিনি দাবি করেন।

জিয়াউল আরও দাবি করেন, জাতিসংঘের মানবাধিকার অফিস দেশের সার্বভৌমত্ব ও নিরাপত্তার ওপর আঘাত হানবে, পার্বত্য চট্টগ্রামে অস্থিতিশীলতা তৈরি করবে এবং বিচ্ছিন্নতাবাদীদের মদদ দেবে। তাদের মতে, এর ফলে ধর্ম পালন ও প্রচারের স্বাধীনতা হুমকির মুখে পড়বে, পতিতাবৃত্তি বৈধতা পাবে এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হবে। তারা আরও অভিযোগ করেন, ধর্ষণ ও হত্যাকাণ্ডের মতো অপরাধে জড়িতদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকরে জাতিসংঘ বাধা দেবে।

 

হুঁশিয়ারি দিয়ে জিয়াউল হক বলেন, "কোনো অবস্থাতেই জাতিসংঘের মানবাধিকার অফিস বাংলাদেশে থাকতে পারে না। আমরা একাধিকবার সরকারকে অনুরোধ জানিয়েছি, কিন্তু কর্ণপাত করা হয়নি। তাই অন্তর্বর্তী সরকারকে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিচ্ছি—এই সময়ের মধ্যে অফিস বাতিল করতে হবে, নইলে লাগাতার কঠোর কর্মসূচিতে যেতে বাধ্য হব।"

এই আল্টিমেটাম এবং হুমকির ফলে দেশের রাজনৈতিক ও সামাজিক মহলে নতুন করে আলোচনা ও বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে।