মঙ্গলবার, ১২ আগস্ট, ২০২৫, ২৭ শ্রাবণ ১৪৩২

বেরোবির অধ্যাপক রশীদুল ইসলাম যৌন হয়রানির অভিযোগে বরখাস্ত

রকিবুল হাসান মুন্না

আগস্ট ৪, ২০২৫, ০৭:৪৫ পিএম

বেরোবির অধ্যাপক রশীদুল ইসলাম যৌন হয়রানির অভিযোগে বরখাস্ত

ছবি- রকিবুল হাসান মুন্না | দিনাজপুর টিভি

বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় (বেরোবি), রংপুর: যৌন হয়রানির অভিযোগে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. রশীদুল ইসলামকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ১১৩তম সিন্ডিকেট সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এবং সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ২০১৮ অনুসারে এই বরখাস্তের আদেশ জারি করা হয়। উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. শওকাত আলীর নির্দেশক্রমে রোববার (০৩ আগস্ট) রেজিস্ট্রার ড. মো. হারুন-অর রশিদের স্বাক্ষরিত চিঠিতে বরখাস্তের আদেশ দেওয়া হয়, যা সোমবার (০৪ আগস্ট) বিকেলে প্রকাশ করা হয়।

জানা গেছে, পরিসংখ্যান বিভাগের এক নারী শিক্ষার্থীর লিখিত এবং আরও ১৫ জন শিক্ষার্থীর মৌখিক অভিযোগের ভিত্তিতে গঠিত তদন্ত কমিটির সুপারিশের পর এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এছাড়া, শিক্ষার্থীদের মার্ক টেম্পারিংয়ের অভিযোগে তাকে দু'সপ্তাহ আগে পাঁচ বছরের জন্য বিভাগের একাডেমিক কার্যক্রম থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছিল।

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন জানিয়েছে, দ্রুত একটি ট্রাইব্যুনাল গঠন করে অধ্যাপক রশীদুল ইসলামের বিরুদ্ধে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এর আগ পর্যন্ত তিনি বরখাস্ত অবস্থায় থাকবেন।

তবে শিক্ষার্থীরা এই সাময়িক বরখাস্তকে অপর্যাপ্ত বলে মনে করছেন। পরিসংখ্যান বিভাগের এক শিক্ষার্থী বলেন, "একজন প্রমাণিত যৌন নিপীড়কের শুধু সাময়িক বরখাস্ত কীভাবে যথেষ্ট হতে পারে? আমরা তার সর্বোচ্চ শাস্তি চাই। এই ধরনের ঘটনায় প্রশাসনের বিলম্ব এবং নমনীয় অবস্থান আমাদের নিরাপত্তাহীনতায় ভোগাচ্ছে।"

চার মাস আগে অভিযোগের সূত্রপাত হলেও বিচারপ্রক্রিয়ায় ধীরগতির কারণে শিক্ষার্থীরা একাধিকবার প্রশাসনের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। জুলাই মাসে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বিভাগের শিক্ষকদের অবরুদ্ধ করে শাস্তির দাবিতে তালা দিয়েছিলেন।

এ বিষয়ে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও উপাচার্য বা বরখাস্ত হওয়া অধ্যাপক রশীদুল ইসলামের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের একটি দায়িত্বশীল সূত্র জানিয়েছে, তদন্ত ও আইনগত প্রক্রিয়ার ধারাবাহিকতা মেনেই পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।