শাফিন আহমেদকে হারানোর এক বছর, বিনোদন অঙ্গনে শোক

দেখতে দেখতে কেটে গেল পুরো এক বছর। অথচ এখনো বিশ্বাস করা কঠিন, শাফিন আহমেদ আর নেই। দেশের ব্যান্ড সংগীতের কিংবদন্তি শাফিন আহমেদের প্রয়াণ যেন এখনো এক বেদনার সুর হয়ে বেজে ওঠে সংগীতপ্রেমীদের হৃদয়ে। আজ তার প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী। প্রিয় শিল্পীকে শ্রদ্ধায়, ভালোবাসায় স্মরণ করছে তার পরিবার, সহকর্মী এবং অগণিত ভক্ত।

পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, শাফিনের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকীতে বড় কোনো আনুষ্ঠানিকতা নয়, ঘরোয়া আয়োজনে, নিজেদের মতো করে পালন করতে চান তারা।
গত বছরের জুলাইয়ে যুক্তরাষ্ট্রে কনসার্ট করতে গিয়ে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন শাফিন আহমেদ। চার দিন লাইফ সাপোর্টে থাকার পর ২৯ জুলাই তার মরদেহ দেশে ফেরে এবং ৩০ জুলাই বনানী কবরস্থানে দাফন করা হয়।

মাইলস্টোন দুর্ঘটনায় শিক্ষার্থীদের পাশে জেমস কনসার্টের আয় হবে উৎসর্গ

বিস্তারিত পড়ুন

লাশ গুম হলে অভিভাবকরাও কি গুম?’ প্রশ্ন প্রিন্স মাহমুদের

বিস্তারিত পড়ুন

শাফিন আহমেদ ১৯৬১ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি জন্মগ্রহণ করেন। যুক্তরাজ্যে পড়াশোনার সময় পাশ্চাত্য সংগীতের প্রতি আগ্রহী হয়ে ওঠেন তিনি। দেশে ফিরে বড় ভাই হামিন আহমেদের সঙ্গে গড়ে তোলেন ‘মাইলস’ ব্যান্ড, যা বাংলাদেশের ব্যান্ড সংগীতের ইতিহাসে অন্যতম জনপ্রিয় নাম।
শাফিন আহমেদ ছিলেন মাইলসের প্রধান ভোকাল ও বেজ গিটারিস্ট। একই সঙ্গে তিনি ছিলেন ব্যান্ডটির বহু জনপ্রিয় গানের গীতিকার ও সুরকার।

তার কণ্ঠে ‘ফিরিয়ে দাও’, ‘জ্বালা জ্বালা’, ‘চাঁদ তারা সূর্য’, ‘নীলা’, ‘প্রথম প্রেমের মতো’, ‘পিয়াসী মন’, ‘পাথুরে নদীর জলে’, ‘আজ জন্মদিন তোমার’সহ অসংখ্য জনপ্রিয় গান আজও সংগীতপ্রেমীদের মনে বাজে।

শাফিন আহমেদের অবদান বাংলাদেশের বিনোদন অঙ্গনে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে। তার শূন্যতা আজও অনুভব করেন সহকর্মী, পরিবার ও ভক্তরা।