আগস্ট ১৬, ২০২৫, ০৯:৫১ এএম
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন নতুন করে বিতর্ক উসকে দিয়ে বলেছেন, যদি ২০২২ সালে ডোনাল্ড ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট পদে থাকতেন, তাহলে ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুই হতো না। আলাস্কায় ট্রাম্পের সঙ্গে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই মন্তব্য করেন, যা আন্তর্জাতিক মহলে নতুন করে আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক অভিযান শুরুর পর থেকেই সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বারবার দাবি করে আসছিলেন যে, তৎকালীন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের দুর্বল নীতির কারণেই এই যুদ্ধ শুরু হয়েছে এবং তিনি ক্ষমতায় থাকলে এটি এড়াতে পারতেন। পুতিনের এই মন্তব্য ট্রাম্পের সেই দাবিকেই সমর্থন করছে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। এই দুই বিশ্বনেতার বৈঠক এবং তারপর এমন মন্তব্য নিঃসন্দেহে বিশ্ব রাজনীতিতে একটি নতুন মোড় এনেছে।
সংবাদ সম্মেলনে পুতিন তার দাবির প্রতি দৃঢ় বিশ্বাস পুনর্ব্যক্ত করে জানান, তিনি বাইডেন প্রশাসনকে বারবার পরিস্থিতিকে এমন এক পর্যায়ে না নিয়ে যাওয়ার জন্য বোঝানোর চেষ্টা করেছিলেন, যেখানে সামরিক পদক্ষেপ অনিবার্য হয়ে ওঠে। তিনি বলেন, "আমি আপনাকে মনে করিয়ে দিতে চাই যে, ২০২২ সালে, পূর্ববর্তী প্রশাসনের সঙ্গে সবশেষ আলোচনার সময় তৎকালীন প্রেসিডেন্টকে বোঝানোর চেষ্টা করেছিলাম যে, পরিস্থিতিকে এমন পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া উচিত নয় যেখানে শত্রুতা দেখা দেবে। আমি সরাসরি তখনই বলেছিলাম যে এটি একটি বড় ভুল ছিল।" এরপর তিনি ট্রাম্পের দাবি পুনর্ব্যক্ত করে বলেন, "যদি ট্রাম্প তখন প্রেসিডেন্ট থাকতেন, তাহলে কোনো যুদ্ধ হতো না।"
পুতিন আরও বলেন, "প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এবং আমি একটি খুব ভালো, ব্যবসায়িক এবং বিশ্বাসযোগ্য যোগাযোগ স্থাপন করেছি। আমি বিশ্বাস করি যে, এই পথে এগিয়ে গেলে আমরা ইউক্রেন সংঘাতের সমাপ্তিতে পৌঁছাতে পারব— এবং যত তাড়াতাড়ি, তত ভালো।"
আলাস্কার অ্যানকোরেজে একটি মার্কিন সামরিক ঘাঁটিতে ট্রাম্প ও পুতিনের এই বহুল প্রতীক্ষিত বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। প্রায় ৩ ঘণ্টা ধরে চলা এই বৈঠক উভয় পক্ষের সম্পর্কের উন্নতির ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। পুতিন ট্রাম্পের "বন্ধুত্বপূর্ণ কথোপকথনের সুর" স্বীকার করে বলেন, অতীতে রাশিয়া-যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক কঠিন ছিল, তবে "পরিস্থিতি সংশোধন" করা প্রয়োজন।