আগস্ট ২৮, ২০২৫, ১১:২৪ এএম
আগামী সপ্তাহে চীনের রাজধানী বেইজিংয়ে অনুষ্ঠিতব্য একটি বিশাল সামরিক কুচকাওয়াজে যোগ দেবেন উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন। চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এই অনুষ্ঠানে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনসহ বিশ্বের ২৬টি দেশের রাষ্ট্রপ্রধানের অংশ নেওয়ার কথা রয়েছে। এই কুচকাওয়াজটি চীন-জাপান যুদ্ধের ৮০তম বার্ষিকী এবং দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সমাপ্তি উপলক্ষে আয়োজিত হচ্ছে।
এটি কিম জং উনের ছয় বছর পর প্রথম বেইজিং সফর। এর আগে তিনি ২০১৯ সালে চীন সফর করেছিলেন। কিম বেইজিংয়ে চীনা প্রেসিডেন্ট শি চিনপিং এবং রাশিয়ান প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে এক মঞ্চে উপস্থিত থাকবেন, যা আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকদের কাছে একটি গুরুত্বপূর্ণ কূটনৈতিক ঘটনা হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে
এই কুচকাওয়াজে চীন তাদের অত্যাধুনিক সামরিক শক্তি প্রদর্শন করবে, যার মধ্যে রয়েছে শত শত যুদ্ধবিমান, ট্যাংক এবং ড্রোনবিরোধী ব্যবস্থা। তিয়ানআনমেন স্কয়ারে হাজার হাজার সেনা সদস্য অত্যন্ত সুশৃঙ্খলভাবে মার্চ করবেন। ৭০ মিনিটব্যাপী এই কুচকাওয়াজকে চীন তাদের সামরিক সক্ষমতা এবং আঞ্চলিক শক্তি হিসেবে নিজেদের অবস্থান তুলে ধরার একটি সুযোগ হিসেবে দেখছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, কিম জং উন এবং ভ্লাদিমির পুতিনের উপস্থিতি চীনা প্রেসিডেন্ট শি চিনপিংয়ের জন্য একটি বড় কূটনৈতিক বিজয়। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কিম ও পুতিনের সঙ্গে আলোচনার আগ্রহের মধ্যে শি জিনপিং বিশ্বকে এই বার্তা দিতে চাইছেন যে ভূ-রাজনৈতিক খেলায় এখনো তার নিয়ন্ত্রণ রয়েছে।
এই অনুষ্ঠানে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট লি জে মিউংও আমন্ত্রিত হয়েছেন, তবে তিনি এখনো অংশগ্রহণের বিষয়ে কোনো আনুষ্ঠানিক সম্মতি জানাননি। বিশ্লেষকরা মনে করছেন, তার জন্য এই অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়া ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে। কিম জং উনের উপস্থিতিতে তিনি প্রকাশ্যে অবহেলিত হলে তা দক্ষিণ কোরিয়ার জন্য বিব্রতকর হতে পারে। এছাড়া, রাশিয়া, বেলারুশ ও ইরানের নেতাদের পাশে দাঁড়ানোও কূটনৈতিকভাবে জটিলতা তৈরি করতে পারে।