আগস্ট ৩১, ২০২৫, ১০:৩৮ এএম
যুক্তরাষ্ট্র সরকারের অর্থায়নে পরিচালিত সংবাদমাধ্যম ভয়েস অব আমেরিকার (ভিওএ) পাঁচ শতাধিক কর্মীকে চাকরিচ্যুত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন। হোয়াইট হাউস দীর্ঘদিন ধরে এই সংবাদমাধ্যমকে ‘উগ্রপন্থি’ আখ্যা দিয়ে আসছিল। এই পদক্ষেপটিকে সংস্থাটিকে সীমিত করে আনার অংশ হিসেবে দেখা হচ্ছে। এই সিদ্ধান্ত আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম মহলে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
শনিবার (৩০ আগস্ট) দ্য গার্ডিয়ান-এর এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, ভয়েস অব আমেরিকার মূল সংস্থা ইউএস এজেন্সি ফর গ্লোবাল মিডিয়ার (ইউএসএজিএম) ভারপ্রাপ্ত প্রধান কারি লেক এক বিবৃতিতে বলেছেন, “এই সিদ্ধান্ত ফেডারেল আমলাতন্ত্র কমাবে, সংস্থার কার্যকারিতা বাড়াবে এবং মার্কিন করদাতাদের অর্থ সাশ্রয় করবে।”
আদালতে দাখিল করা নথিতে ইউএসএজিএম জানিয়েছে যে মোট ৫৩২টি পদ বিলুপ্ত করা হবে, যার বেশিরভাগই ভয়েস অব আমেরিকার। এর ফলে সংস্থাটিতে মাত্র ১০৮ জন কর্মী অবশিষ্ট থাকবেন।
কর্মচারীদের ইউনিয়ন এই সিদ্ধান্তকে ‘অবৈধ’ আখ্যা দিয়েছে। এর আগে গত জুন মাসেও ৬৩৯ কর্মীকে ছাঁটাই করার ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল, যা পরে কাগজপত্রের ত্রুটির কারণে প্রত্যাহার করা হয়। কিছু কর্মী এই ছাঁটাই রুখতে মামলা করেছিলেন।
বিবিসি বলছে, সম্প্রতি একটি আদালতের রায়ে বলা হয়েছিল যে ভয়েস অব আমেরিকার পরিচালক মাইকেল আব্রামোভিটজকে বরখাস্ত করার ক্ষেত্রে ট্রাম্প প্রশাসন সঠিক প্রক্রিয়া অনুসরণ করেনি। এর পরপরই নতুন করে ছাঁটাইয়ের এই ঘোষণা আসে। আদালতের এই রায়ের পর কর্মচারীরা এক বিবৃতিতে বলেন, “আমরা লেকের ধারাবাহিক আক্রমণকে ঘৃণ্য মনে করছি। আমরা আইনি লড়াই চালিয়ে যাব।”
বর্তমানে ভয়েস অব আমেরিকার অধিকাংশ সাংবাদিক চলতি বছরের মার্চ মাস থেকে প্রশাসনিক ছুটিতে রয়েছেন। তবে ইসরাইল-ইরান যুদ্ধ শুরু হলে কিছু ফারসি ভাষার সাংবাদিককে কাজে ডাকা হয়। এছাড়া কিউবা সম্প্রচার বিভাগে কর্মরত সাংবাদিকদের ওপর এই ছাঁটাই প্রযোজ্য হবে না।