সেপ্টেম্বর ১৮, ২০২৫, ০৬:০৭ পিএম
গাজায় ইসরায়েলি হামলার পর থেকে দেশটির নাগরিকদের মধ্যে দেশ ছাড়ার প্রবণতা আশঙ্কাজনক হারে বেড়ে গেছে। গত দুই বছরে প্রায় দেড় লাখ ইসরায়েলি নাগরিক দেশ ছেড়েছেন, যা একই সময়ে ইসরায়েলে আসা নতুন অভিবাসীর সংখ্যার প্রায় দ্বিগুণ। এই তথ্য মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক গণমাধ্যম মিডল ইস্ট মনিটরের এক প্রতিবেদনে প্রকাশিত হয়েছে।
ইসরায়েলের কেন্দ্রীয় পরিসংখ্যান ব্যুরোর (সিবিএস) তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ সালে প্রায় ৮২,০০০ ইসরায়েলি দেশ ছেড়েছেন, যেখানে মাত্র ৩১,০০০ নতুন অভিবাসী ইসরায়েলে প্রবেশ করেছেন। এর আগের বছর, ২০২৩ সালে, দেশ ত্যাগকারী ইসরায়েলির সংখ্যা ছিল ৫৫,০০০, আর আগত অভিবাসীর সংখ্যা ছিল ৪৬,০০০। এই পরিসংখ্যান থেকে বোঝা যায়, ২০২৩ সালের তুলনায় ২০২৪ সালে দেশত্যাগকারীর সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, এই দেশত্যাগের মূল কারণ হলো ২০২৩ সালের ৭ই অক্টোবরের পর থেকে উদ্ভূত পরিস্থিতি। সেদিন গাজায় নতুন করে উত্তেজনা শুরু হয়, যা রাজনৈতিক অস্থিরতা, নিরাপত্তাহীনতার অনুভূতি, আন্তর্জাতিক মহলে ইসরায়েলের ক্রমবর্ধমান বিচ্ছিন্নতা এবং অর্থনৈতিক ও সামাজিক অনিশ্চয়তা সৃষ্টি করেছে। এই সকল কারণ মিলিতভাবে বহু ইসরায়েলিকে দেশ ছাড়তে উৎসাহিত করেছে।
বর্তমানে ইসরায়েলের মোট জনসংখ্যা ১ কোটির বেশি হলেও, জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার কমে ১.২ শতাংশে দাঁড়িয়েছে, যা আগের বছরের ১.৬ শতাংশের তুলনায় লক্ষণীয়ভাবে কম। পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্যে আরও বলা হয়, ইসরায়েলের মোট জনসংখ্যার মধ্যে ২১.৪ শতাংশ হলো ফিলিস্তিনি এবং ৭৮.৬ শতাংশ ইহুদি বা অন্যান্য গোষ্ঠীভুক্ত। এই পরিসংখ্যানগুলো স্পষ্টভাবে দেখায় যে গাজা যুদ্ধ এবং অভ্যন্তরীণ সংকট ইসরায়েলিদের মধ্যে এক অনিশ্চিত ভবিষ্যতের আশঙ্কা তৈরি করেছে, যার প্রভাব পড়ছে অভিবাসনের ধরনেও।