বুধবার, ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ২৬ ভাদ্র ১৪৩২

হাসিনা ও পরিবারের বিরুদ্ধে তিন মামলার সাক্ষ্য শুরু সোমবার

দিনাজপুর টিভি ডেস্ক

আগস্ট ১০, ২০২৫, ০৬:৩৩ পিএম

হাসিনা ও পরিবারের বিরুদ্ধে তিন মামলার সাক্ষ্য শুরু সোমবার

ছবি- সংগৃহীত

২০২৪ সালের ৫ আগস্ট ক্ষমতার পরিবর্তনের পর, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তার পরিবারের বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম হলো রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পে সরকারি প্লট বরাদ্দে দুর্নীতির অভিযোগ। এসব অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) মোট ছয়টি পৃথক মামলা দায়ের করে। সম্প্রতি এসব মামলার বিচারিক কার্যক্রম শুরু হয়েছে এবং আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগও গঠন করা হয়েছে। যেহেতু আসামিরা বর্তমানে পলাতক, তাই তাদের অনুপস্থিতিতেই বিচার কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। সোমবার থেকে এসব মামলার কয়েকটি সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হচ্ছে, যা বাংলাদেশের আইনি ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা।

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পে প্লট বরাদ্দে দুর্নীতির অভিযোগে দায়ের করা ছয়টি মামলার মধ্যে তিনটি মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ আগামীকাল সোমবার থেকে শুরু হতে যাচ্ছে। রবিবার (১০ আগস্ট) দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পাবলিক প্রসিকিউটর মীর আহমেদ আলী সালাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫-এর বিচারক মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মামুনের আদালতে এই তিনটি মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হবে। সাক্ষ্য দেওয়ার জন্য তিন মামলার বাদীকে আদালতে হাজির হওয়ার জন্য সমন জারি করা হয়েছে।

প্লট বরাদ্দের দুর্নীতির অভিযোগে গত জানুয়ারিতে দুদক পৃথকভাবে মোট ৬টি মামলা দায়ের করে। এসব মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, সরকারের সর্বোচ্চ পদে থাকাকালে শেখ হাসিনা ও তার পরিবার ক্ষমতার অপব্যবহার করে পূর্বাচল আবাসন প্রকল্পের ২৭ নম্বর সেক্টরে ১০ কাঠা করে প্লট বরাদ্দ নেন, যা অনিয়মের মাধ্যমে করা হয়েছিল।

দুদকের পাবলিক প্রসিকিউটর জানান, এই তিনটি মামলার একটিতে শেখ হাসিনাসহ ১২ জন, আরেকটি মামলায় সজীব ওয়াজেদ জয় ও শেখ হাসিনাসহ ১৭ জন এবং অপরটিতে সায়মা ওয়াজেদ পুতুল ও শেখ হাসিনাসহ ১৮ জন আসামি রয়েছেন। এর আগে গত ৩১ জুলাই এই তিন মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়।

এছাড়া বাকি তিনটি মামলায় ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪-এর বিচারক মো. রবিউল আলম অভিযোগ গঠন করেন এবং ১৩ আগস্ট সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য করেন। এসব মামলায় শেখ রেহানা, টিউলিপ রিজওয়ানা সিদ্দিক, রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিকসহ পরিবারের অন্য সদস্যদের আসামি করা হয়েছে। যেহেতু আসামিরা সকলেই পলাতক, তাই তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।