বুধবার, ২০ আগস্ট, ২০২৫, ৫ ভাদ্র ১৪৩২

২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা, আপিল শুনানি শুরু

দিনাজপুর টিভি ডেস্ক

আগস্ট ২০, ২০২৫, ১১:২১ এএম

২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা, আপিল শুনানি শুরু

ছবি- সংগৃহীত

বহুল আলোচিত ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় হাইকোর্টের রায়ে খালাসপ্রাপ্ত বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরসহ সব আসামির খালাসের রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের আপিলের শুনানি চলছে।

আজ বুধবার (২০ আগস্ট) সকালে প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে ৬ বিচারপতির আপিল বেঞ্চে এ আলোচিত মামলার আসামিপক্ষের দ্বিতীয় দিনের আপিল শুনানি শুরু হয়। এর আগে হাইকোর্টে খালাসপ্রাপ্ত তারেক রহমান ও লুৎফুজ্জামান বাবরের খালাস বাতিল চেয়ে শুনানি শেষ করে রাষ্ট্রপক্ষ।

মামলার পটভূমি ও বিচারিক আদালতের রায় ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের এক সমাবেশে ভয়াবহ গ্রেনেড হামলা চালানো হয়। অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে যান তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেত্রী ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তবে হামলায় আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদক আইভী রহমানসহ ২৪ জন নিহত হন এবং তিন শতাধিক নেতাকর্মী আহত হন।

এই ঘটনার পর মতিঝিল থানায় দুটি মামলা হয়—একটি হত্যা মামলা, অন্যটি বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে। ২০০৮ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় দেওয়া অভিযোগপত্রে ২২ জনকে আসামি করা হয়। ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর অধিকতর তদন্ত শেষে ২০১১ সালে আরও ৩০ জনকে আসামি করে সম্পূরক অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। এই মামলায় মোট আসামির সংখ্যা দাঁড়ায় ৫২ জনে। এর মধ্যে অন্য মামলায় দণ্ড কার্যকর হওয়ায় তিন আসামির নাম বাদ যায়।

২০১৮ সালের ১০ অক্টোবর বিচারিক আদালতের রায়ে ১৯ জনকে মৃত্যুদণ্ড এবং ১৯ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়। যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্তদের মধ্যে ছিলেন তারেক রহমান ও হারিছ চৌধুরী। আর মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তদের তালিকায় ছিলেন লুৎফুজ্জামান বাবরসহ ১৯ জন। এছাড়া আরও ১১ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

হাইকোর্টের রায় ও আপিল ২০২২ সালের ১ ডিসেম্বর বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই মামলার রায় দেন। রায়ে বিচারিক আদালতে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত তারেক রহমান এবং মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত লুৎফুজ্জামান বাবরসহ সব আসামিকে খালাস দেওয়া হয়। এই রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি ১৯ ডিসেম্বর প্রকাশিত হয়। এরপর রায়ের বিরুদ্ধে আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন (লিভ টু আপিল) করে রাষ্ট্রপক্ষ, যা এখন আপিল বিভাগে শুনানির পর্যায়ে রয়েছে।