আগস্ট ২৮, ২০২৫, ১০:১৩ এএম
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে ঐতিহাসিক চন্দ্রনাথ মন্দিরের জায়গায় মসজিদ নির্মাণের কোনো পরিকল্পনা সরকারের নেই। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এই বিষয়ে যা ছড়ানো হয়েছে, তা স্রেফ ভিত্তিহীন গুজব বলে জানিয়েছেন ধর্ম বিষয়ক উপদেষ্টা আ ফ ম খালিদ হোসেন। তিনি বলেন, এমন গুজবের মাধ্যমে কেউ বিভ্রান্তি ছড়ানোর চেষ্টা করলে তা কঠোর হাতে দমন করা হবে।
বুধবার (২৭ আগস্ট) রেল ভবনে দুটি মসজিদ ও একটি মন্দিরের জন্য রেলওয়ের জমি হস্তান্তর অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন। উপদেষ্টা আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেন, “সীতাকুণ্ডের চন্দ্রনাথ মন্দির সনাতন ধর্মাবলম্বীদের একটি পুরনো তীর্থস্থান। সেখানে মসজিদ নির্মাণ অথবা কালেমা খচিত পতাকা স্থাপনের কোনো চিন্তাভাবনা সরকারের নেই।”
তিনি বলেন, যদি কারও মসজিদ নির্মাণ করতে হয়, তাহলে মুসলিম অধ্যুষিত এলাকা আছে। চন্দ্রনাথ পাহাড়ের ওপর মসজিদ বানাতে কে যাবে, সেখানে নামাজ পড়তে যাবে কে? এটি সম্পূর্ণ একটি গুজব এবং এর কোনো ভিত্তি নেই। তিনি আরও জানান, সরকার বরং সেই পুরনো মন্দিরটি সংস্কার করে নতুনভাবে উন্নয়নের জন্য সংশ্লিষ্ট প্রশাসনকে নির্দেশনা দিয়েছে।
ধর্ম উপদেষ্টা খিলক্ষেতে একই স্থানে মন্দির ও মসজিদের জন্য রেলওয়ের জমি বরাদ্দের দৃষ্টান্তের প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, “এটি বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের জন্য একটি ঐতিহাসিক ঘটনা হয়ে থাকবে। একই স্থানে ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের জন্য জমি প্রদানের ঘটনা প্রমাণ করে বাংলাদেশ একটি সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ। সবাই নিজ নিজ ধর্মের অনুশাসন পালন করবে, কেউ কারো জন্য বাধা হয়ে দাঁড়াবে না।”
উপদেষ্টার এই বক্তব্য গুজব এবং সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করার অপচেষ্টার বিরুদ্ধে সরকারের দৃঢ় অবস্থানের ইঙ্গিত দেয়। এটি দেশের জাতীয় ঐক্য এবং সম্প্রীতি রক্ষায় একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।