সাঘাটায় মসজিদের পাশে করাত কল, বিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ

গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলার হাট ভরতখালী সরকারপাড়া আহলে হাদিস জামে মসজিদের পাশে স্থাপিত আকন্দ "ছ" করাত কলের লাইসেন্স বাতিলের দাবি উঠেছে। এ বিষয়ে মসজিদ কমিটির লিখিত আবেদনের প্রেক্ষিতে রংপুর বিভাগীয় বন্যপ্রাণী ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ কর্মকর্তা স্মৃতি সিংহ রায় বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) ঘটনাস্থল পরিদর্শন ও তদন্ত কার্যক্রম সম্পন্ন করেছেন।

করাত কল লাইসেন্স বিধিমালা ২০১২ অনুযায়ী, মসজিদ, মাদ্রাসা বা জনবসতিপূর্ণ এলাকা থেকে করাত কল কমপক্ষে ২০০ মিটার দূরে স্থাপন করা বাধ্যতামূলক। কিন্তু অভিযোগ রয়েছে, আকন্দ "ছ" মিলটি মসজিদ থেকে মাত্র ৩২ মিটার দূরে অবস্থিত। এছাড়া, এর পাশেই রয়েছে মুক্তিযোদ্ধা জয়নাল আবেদীনের বসতবাড়ি।

বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি: বিএন‌পি নেতা সজীবের ব্যক্তিগত উদ্যোগ

বিস্তারিত পড়ুন

অভিযোগকারীরা জানান, ২০২৩ সালের ৬ জুন তারা জেলা প্রশাসকের কাছে করাত কল স্থাপনে বাধা চেয়ে আবেদন করলেও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এমনকি মৃত বীর মুক্তিযোদ্ধা জয়নাল আবেদীনও ২০২৪ সালের ৫ মে রংপুর বিভাগীয় বন কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ করেছিলেন, তাতেও কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। স্থানীয়দের অভিযোগ, অভিযোগ দায়েরের পর জেলা বন কর্মকর্তা উল্টো ২০২৫ সালের জন্য লাইসেন্স নবায়ন করেছেন এবং বিভাগীয় বন কর্মকর্তার কাছে মিথ্যা তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছেন।

স্থানীয় বাসিন্দা রফিকুল ইসলাম অভিযোগ করে বলেন, "মিলের শব্দদূষণে আমাদের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হচ্ছে। মসজিদের পাশে মিল চালু রাখা সম্পূর্ণ আইনবিরোধী। আমরা সঠিক তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানাই।"

অন্যদিকে, করাত কলের মালিক আমিনুল ইসলাম আকন্দ বলেন, "আমি নিয়ম মেনেই লাইসেন্স নিয়ে মিল পরিচালনা করছি।"

তদন্তকালে উপস্থিত ছিলেন ভারপ্রাপ্ত জেলা বন কর্মকর্তা এ.এইচ.এম শরীফুল ইসলাম মণ্ডল এবং সাঘাটা উপজেলার পরিবেশ ও বন বিভাগ কমিটির সদস্য সচিব মো. আব্দুল মান্নান। রংপুর বিভাগীয় বন্যপ্রাণী ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ কর্মকর্তা স্মৃতি সিংহ রায় জানান, "ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে সঠিক তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়া হবে।"

মসজিদ কমিটির পক্ষ থেকে অবিলম্বে করাত কলের লাইসেন্স বাতিল করে শব্দ ও পরিবেশ দূষণ থেকে স্থানীয়দের রক্ষা করার দাবি জানানো হয়েছে।