জুলাই ১৯, ২০২৫, ০৪:২৪ পিএম
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের' অন্যতম নেতা এবং ইসলামি ছাত্রশিবিরের সাহিত্য সম্পাদক সাদিক কায়েম বলেছেন, “আগামী দিনের বিপ্লব হবে ইসলামের বিপ্লব।” দেশের জনগণ অতীতেও ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছে এবং ভবিষ্যতেও দাঁড়াবে বলে তিনি উল্লেখ করেন। এই সংগ্রামে বহু মানুষ শহীদ হয়েছেন - শাপলা চত্ত্বরে, বিভিন্ন ক্যাম্পাসে এবং সর্বশেষ জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে – এমন মন্তব্য করেন তিনি।
আজ (শনিবার) দুপুরে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী আয়োজিত এক বিশাল সমাবেশে বক্তব্যকালে সাদিক কায়েম এই মন্তব্য করেন।
সাদিক কায়েম তার বক্তব্যে বিগত সরকারের কঠোর সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, “বিগত ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগ সরকার দেশে গণহত্যা চালিয়েছে।” তিনি সাঈদীর রায় পরবর্তী সময়ের গণহত্যা, ২০১৩ সালের শাপলা চত্ত্বরের ঘটনা, ক্যাম্পাসগুলোতে ছাত্রলীগের হাতে হত্যাকাণ্ডের অভিযোগ তোলেন। আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে কথা বলতে গিয়ে শহীদ হওয়া আবরার ফাহাদের কথাও তিনি স্মরণ করেন। এরপর সর্বশেষ জুলাইয়ে এসে সরকার আরেকটি গণহত্যা চালিয়েছে বলে তিনি দাবি করেন।
সাদিক কায়েম বলেন, “আজকের এই সমাবেশ থেকে আমাদের বাংলাদেশ প্রশ্নে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে। সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে, দেশের প্রশ্নে সবাইকে এক থাকতে হবে।” এই লক্ষ্যে জামায়াত ৭ দফা দাবি পেশ করেছে এবং এটি আদায় করে নিতে আরেকটি বিপ্লব করতে হবে বলে তিনি ঘোষণা দেন।
সাত দফা দাবিতে অনুষ্ঠিত হচ্ছে জামায়াতের আজকের এই সমাবেশ। এই দাবিগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো:
-
অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠানে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিতকরণ।
-
সব গণহত্যার বিচার।
-
প্রয়োজনীয় মৌলিক সংস্কার।
-
‘জুলাই সনদ’ ও ঘোষণাপত্র বাস্তবায়ন।
-
জুলাই অভ্যুত্থানে শহীদ ও আহতদের পরিবারের পুনর্বাসন।
-
সংখ্যানুপাতিক (পিআর) পদ্ধতিতে জাতীয় নির্বাচন।
-
এক কোটির বেশি প্রবাসী ভোটারদের ভোটাধিকার নিশ্চিতকরণ।
বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর এই প্রথম বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী এককভাবে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জাতীয় সমাবেশ করছে। এই সমাবেশকে দলটি তাদের রাজনৈতিক শক্তি প্রদর্শনের একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে দেখছে, যা দেশের ভবিষ্যৎ রাজনীতিতে প্রভাব ফেলবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
-
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নিজস্ব সংবাদ মাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম: (যদিও মূলধারার গণমাধ্যমে এই ধরনের সমাবেশ ও বক্তব্যের নির্ভরযোগ্য সংবাদ নাও থাকতে পারে)।
-
বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম: (প্রথম আলো, যুগান্তর, কালবেলা, বিবিসি বাংলা – যদি তারা এই সমাবেশ কভার করে থাকে)।
-
সংশ্লিষ্ট রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মন্তব্য: (যারা এই ধরনের রাজনৈতিক সমাবেশ ও তার প্রভাব নিয়ে বিশ্লেষণ করেন)।
আপনার মতামত লিখুন: