সেপ্টেম্বর ৫, ২০২৫, ১০:০৩ এএম
কুমিল্লার দেবিদ্বার সংসদীয় আসনে বিএনপির রাজনীতি বর্তমানে তিন ভাগে বিভক্ত, যা আগামী নির্বাচনে এই দলের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই অভ্যন্তরীণ কোন্দলকে কাজে লাগিয়ে ন্যাশনাল কনভেনশন পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ আসনটি নিজেদের করে নিতে পারেন বলে স্থানীয় রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচনা চলছে।
দেবিদ্বার আসনে বিএনপির তিন মনোনয়নপ্রত্যাশী তিনটি পৃথক গ্রুপ পরিচালনা করছেন। এই নেতারা হলেন: সাবেক সংসদ-সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মঞ্জুরুল আহসান মুন্সী, কুমিল্লা উত্তর জেলা বিএনপির সদস্য সচিব এএফএম তারেক মুন্সি এবং সাবেক ছাত্রনেতা এমএ আউয়াল খান। নির্বাচন যতই ঘনিয়ে আসছে, তাদের অভ্যন্তরীণ কোন্দল ততই দৃশ্যমান হচ্ছে।
প্রতিটি দলীয় কর্মসূচিতে পৃথকভাবে শোডাউন করে নিজেদের শক্তি প্রমাণের চেষ্টা করছেন এই নেতারা। স্থানীয় রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, বিএনপির এই ত্রিমুখী দ্বন্দ্বের সুযোগ কাজে লাগানোর চেষ্টা করছেন হাসনাত আবদুল্লাহ।
এনসিপির মুখ্য সংগঠক হিসেবে হাসনাত আবদুল্লাহ কোনো নেতিবাচক মন্তব্যে কান না দিয়ে সংগঠনকে তৃণমূল থেকে শক্তিশালী করার পাশাপাশি এলাকার উন্নয়নমূলক কাজ দেখভাল করছেন। তিনি জনগণের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য 'উঠানে রাজনীতি' শীর্ষক আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছেন। তার মতে, জনগণ যাকে চাইবে, তিনিই সংসদ-সদস্য নির্বাচিত হবেন। আগামী নির্বাচনে তিনি কী ধরনের চমক দেখাবেন, তা নিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে ব্যাপক কৌতূহল রয়েছে।
স্থানীয়দের মতে, দেবিদ্বার আসনটি ঐতিহাসিকভাবে বিএনপির ঘাঁটি এবং এখানে ধানের শীষ প্রতীকের একটি শক্তিশালী ভোটব্যাংক রয়েছে। যদি বিএনপির এই তিন গ্রুপের নেতারা দ্বন্দ্ব ভুলে এক হয়ে কাজ করেন, তবে তাদের পক্ষে ভোট বিপ্লব ঘটানো সম্ভব। তবে যদি কোন্দল অব্যাহত থাকে, তবে হাসনাত আবদুল্লাহ এই সুযোগের পূর্ণ সদ্ব্যবহার করতে পারেন। এই পরিস্থিতিতে আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে দেবিদ্বারে নতুন রাজনৈতিক সমীকরণ তৈরি হয়েছে।