সেপ্টেম্বর ১৩, ২০২৫, ১১:২১ এএম
বিএনপির সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক রুমিন ফারহানা মনে করেন যে, আওয়ামী লীগের ভোট জামায়াত পেয়েছে বলে মন্তব্য করা দলের জন্য আরও বিপদ ডেকে আনবে। সম্প্রতি একটি টক শোতে তিনি বলেন, এ ধরনের বক্তব্য দেওয়ার আগে দলীয় ফোরামে আলোচনা করা উচিত। তিনি ডাকসু নির্বাচনে ইসলামী ছাত্রশিবিরের জয়ের কৌশল নিয়েও কথা বলেন।
রুমিন ফারহানা বলেন, যারা নির্বাচনে পরাজিত হয়েছেন, তাদের উচিত বাস্তবতাকে অস্বীকার না করে পরাজয় মেনে নেওয়া। তিনি বলেন, “আওয়ামী লীগের ভোট জামায়াতে চলে গেছে”—এ ধরনের কথা বলা দলকে আরও বিপর্যয়ের মধ্যে ফেলবে। তিনি উদাহরণ দিয়ে বলেন, “ডাকসু নির্বাচনে ছাত্রদলের ভিপি প্রার্থী পেয়েছে ৫-৬ হাজার ভোট, আর শিবিরের প্রার্থী পেয়েছে ১৪ হাজার ভোট। এখানে ৯ হাজার ভোটের একটি বড় পার্থক্য রয়েছে। তাহলে কি আপনারা বলতে চাইছেন যে এই ৯ হাজার ভোট ছাত্রলীগের ভোট ছিল? এই ধরনের কথা না বলে ঠান্ডা মাথায় দলীয় ফোরামে বসে চিন্তাভাবনা করে কথা বলা উচিত।”
রুমিন ফারহানা আরও বলেন, রাজনীতির ধরন আমূল পরিবর্তন হচ্ছে। তিনি নেপাল, শ্রীলঙ্কা এবং বাংলাদেশের উদাহরণ দিয়ে বলেন যে, রাজনীতিতে একটি বড় ধরনের পরিবর্তন বা 'প্যারাডাইম শিফটিং' হয়েছে। রাজনৈতিক দলগুলো যদি এই পরিবর্তন উপলব্ধি করতে না পারে, তাহলে ছাত্র সংসদ নির্বাচন, স্থানীয় সরকার নির্বাচন কিংবা জাতীয় নির্বাচনে তাদের চরম মূল্য দিতে হবে।
তিনি জানান, একসময় বাঙালি জাতীয়তাবাদ বা ধর্মভিত্তিক রাজনীতির জয়জয়কার ছিল। কিন্তু এখন রাজনীতি কল্যাণভিত্তিক বা ওয়েলফেয়ার পলিটিক্স-এর দিকে মোড় নিয়েছে। তিনি ভারতের দিল্লির ‘আম আদমি পার্টির’ উদাহরণ দিয়ে বলেন যে, তারা জনগণের কল্যাণভিত্তিক রাজনীতি করে সফল হয়েছে। রুমিন ফারহানা মনে করেন, টিকে থাকতে হলে এবং দীর্ঘ মেয়াদে রাজনীতিতে থাকতে হলে রাজনৈতিক দলগুলোকে এখন থেকে জনগণের কল্যাণে নিয়োজিত থাকতে হবে।