জুলাই ২৪, ২০২৫, ০৬:৫০ পিএম
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যকার লড়াই বরাবরই উত্তেজনাপূর্ণ। বিশেষ করে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে, যেখানে ম্যাচের গতি দ্রুত পরিবর্তিত হয় এবং ব্যক্তিগত নৈপুণ্য ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দিতে পারে। চলমান তিন ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজে বাংলাদেশ ইতোমধ্যেই প্রথম দুটি ম্যাচ জিতে সিরিজ নিশ্চিত করেছে। ফলে শেষ ম্যাচটি বাংলাদেশের জন্য হোয়াইটওয়াশের সুযোগ, আর পাকিস্তানের জন্য মান বাঁচানোর লড়াই। এমন গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ।
সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচ জিতে বাংলাদেশ ইতোমধ্যেই সিরিজ নিশ্চিত করে ফেলেছে। তাই শেষ ম্যাচ জিততে পারলে পাকিস্তানকে হোয়াইটওয়াশ করার দারুণ সুযোগ রয়েছে টাইগারদের সামনে। অন্যদিকে, এই ম্যাচটি পাকিস্তানের জন্য মর্যাদার লড়াই। এমন ম্যাচে টসে জিতে আগে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ।
আগের দুটি ম্যাচে বাংলাদেশের বোলিং ছিল দারুণ কার্যকর। তবে আজ সিরিজের তৃতীয় টি-টোয়েন্টিতে শুরুটা প্রত্যাশামতো হয়নি বাংলাদেশের বোলারদের। প্রথম ওভার থেকেই আক্রমণাত্মক ব্যাটিং শুরু করে পাকিস্তান, বিশেষ করে ওপেনার সাহিবজাদা ফারহান। এই ডানহাতি ব্যাটসম্যান রীতিমতো টর্নেডো বইয়ে দেন! মিরপুরের তুলনামূলক স্লো উইকেটেও তিনি হেসে-খেলে ব্যাট করে যাচ্ছিলেন, যা টাইগার শিবিরে কিছুটা উদ্বেগের সৃষ্টি করে।
ফারহানের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে পাওয়ার প্লেতে কোনো উইকেট না হারিয়েই ৫৭ রান সংগ্রহ করে পাকিস্তান। মনে হচ্ছিল তারা একটি বড় সংগ্রহের দিকে এগোচ্ছে। তবে পাওয়ার প্লে শেষ হতেই উইকেটের দেখা পায় বাংলাদেশ। ইনিংসের অষ্টম ওভারে এসে বাংলাদেশকে প্রথম ব্রেকথ্রু এনে দেন বাঁহাতি স্পিনার নাসুম আহমেদ। তার ঘূর্ণিতে সাজঘরে ফেরেন আরেক ওপেনার সায়িম আইয়ুব। আউট হওয়ার আগে ১৫ বলে ২১ রান করেছেন এই পাকিস্তানি ওপেনার।
সায়িম আইয়ুবের উইকেট পতনের পর ৮ ওভার শেষে পাকিস্তানের সংগ্রহ দাঁড়ায় এক উইকেট হারিয়ে ৮২ রান। নাসুম আহমেদের এই ব্রেকথ্রু পাকিস্তানকে কিছুটা চাপে ফেলতে সক্ষম হয়েছে এবং বাংলাদেশের জন্য ম্যাচে ফেরার সুযোগ তৈরি করেছে। এখন দেখার বিষয়, মাঝের ওভারগুলোতে বাংলাদেশের বোলাররা এই চাপ ধরে রাখতে পারেন কিনা।
আপনার মতামত লিখুন: