শুক্রবার, ১৫ আগস্ট, ২০২৫, ৩১ শ্রাবণ ১৪৩২

তিস্তার পানি বৃদ্ধি: ভাঙনের মুখে সড়ক ও হাজার পরিবার

দিনাজপুর টিভি ডেস্ক

আগস্ট ১৪, ২০২৫, ০৯:৪৮ এএম

তিস্তার পানি বৃদ্ধি: ভাঙনের মুখে সড়ক ও হাজার পরিবার

ছবি- সংগৃহীত

উজানের পাহাড়ি ঢল এবং ভারি বৃষ্টিপাতের কারণে তিস্তা নদীর পানি হু হু করে বাড়ছে, যা রংপুর ও লালমনিরহাট জেলার বিস্তীর্ণ এলাকায় বন্যার আশঙ্কা তৈরি করেছে। এরই মধ্যে তিস্তা নদীর উপর নির্মিত দ্বিতীয় সড়ক সেতুর রক্ষা বাঁধের একটি বড় অংশ ভেঙে পড়েছে, যা লালমনিরহাট-রংপুর সড়কসহ হাজার হাজার পরিবারকে মারাত্মক ঝুঁকিতে ফেলেছে।

বুধবার (১৩ আগস্ট) সরেজমিন দেখা গেছে, গঙ্গাচড়ার মহিপুরে তিস্তা নদীর পশ্চিম পাড়ের সেতু রক্ষা বাঁধের প্রায় ৭০ ফুট গভীর গর্ত তৈরি হয়েছে। তীব্র স্রোতের আঘাতে বাঁধের নিচের মাটি সরে যাওয়ায় বাঁধের ব্লকগুলো ধসে পড়ছে। এতে প্রায় এক হাজার পরিবার এবং রংপুর-লালমনিরহাট সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা ঝুঁকির মুখে পড়েছে। স্থানীয়রা আশঙ্কা করছেন, দ্রুত পদক্ষেপ না নিলে পুরো বাঁধ ভেঙে গিয়ে বড় ধরনের বিপর্যয় ঘটতে পারে।

এদিকে, তিস্তার পানি বিপদসীমা অতিক্রম করায় রংপুরের গঙ্গাচড়া, কাউনিয়া ও পীরগাছা উপজেলার নিম্নাঞ্চল, চর ও দ্বীপ চরের কিছু এলাকা এরই মধ্যে প্লাবিত হয়েছে। নদীর তীরবর্তী অনেক পরিবার বন্যার আশঙ্কায় ঘরবাড়ি ছেড়ে নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নিতে বাধ্য হচ্ছে। পীরগাছা উপজেলার ছাওলা ইউনিয়নের শিবদেবসহ আশপাশের এলাকায় শতাধিক ঘরবাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।

গঙ্গাচড়ার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাহমুদ হাসান মৃধা জানিয়েছেন, বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে প্রয়োজনীয় সহায়তা দিতে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। অন্যদিকে, নদীভাঙনে ক্ষতিগ্রস্তদের পক্ষ থেকে স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের জোর দাবি জানানো হয়েছে। তাদের মতে, সাময়িক ত্রাণ সহায়তা জরুরি হলেও প্রতি বছর এই ক্ষতির পুনরাবৃত্তি ঠেকাতে স্থায়ী সমাধান প্রয়োজন।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রবিউল ইসলাম জানান, রংপুর অঞ্চলে ভারি থেকে অতি ভারি বৃষ্টিপাত এবং উজানে ভারতের আসাম ও পশ্চিমবঙ্গে বৃষ্টিপাত হওয়ায় তিস্তার পানি বাড়ছে। বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রও সতর্ক করে দিয়েছে যে, তিস্তা, ধরলা ও দুধকুমার নদীর সংলগ্ন এলাকায় বন্যার ঝুঁকি রয়েছে।