মঙ্গলবার, ১২ আগস্ট, ২০২৫, ২৮ শ্রাবণ ১৪৩২

স্থায়ী ক্যাম্পাসের দাবিতে সড়ক অবরোধ, অচল ঢাকা-উত্তরবঙ্গ মহাসড়ক

দিনাজপুর টিভি ডেস্ক

আগস্ট ১০, ২০২৫, ০১:১৩ পিএম

স্থায়ী ক্যাম্পাসের দাবিতে সড়ক অবরোধ, অচল ঢাকা-উত্তরবঙ্গ মহাসড়ক

ছবি- সংগৃহীত

২০১৬ সালে সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে প্রতিষ্ঠিত হয় রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়। কিন্তু প্রতিষ্ঠার দীর্ঘ ৯ বছর পেরিয়ে গেলেও বিশ্ববিদ্যালয়টি এখনো স্থায়ী ক্যাম্পাসে যেতে পারেনি। শাহজাদপুর মহিলা কলেজ, সাইফুদ্দিন ইয়াহিয়া ডিগ্রি কলেজসহ কয়েকটি ভাড়া করা ভবনে চলছে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম। এতে করে শিক্ষার্থীদের আবাসন, শ্রেণিকক্ষ ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধার মারাত্মক সংকট দেখা দিয়েছে। গত কয়েক বছর ধরে শিক্ষার্থীরা এই সমস্যার সমাধানে বিভিন্ন সময়ে আন্দোলন করে আসছেন। বারবার সরকারের পক্ষ থেকে আশ্বাস দেওয়া হলেও কার্যত কোনো অগ্রগতি হয়নি। এই পরিস্থিতিতে হতাশাগ্রস্ত শিক্ষার্থীরা এবার কঠোর আন্দোলনের পথ বেছে নিয়েছেন।

স্থায়ী ক্যাম্পাসের দাবিতে ফের আন্দোলনে নেমেছে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। রবিবার (১০ আগস্ট) সকাল থেকে তারা সিরাজগঞ্জের হাটিকুমরুল গোলচত্বর এলাকায় ঢাকা-উত্তরবঙ্গ মহাসড়ক অবরোধ করে। এতে ঢাকা-পাবনা, ঢাকা-রাজশাহী ও ঢাকা-বগুড়া মহাসড়কে সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়, যার ফলে যাত্রীদের চরম ভোগান্তি পোহাতে হয়।

শিক্ষার্থীদের এই আন্দোলনের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং স্থানীয় সচেতন নাগরিকরাও যোগ দিয়েছেন। আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, বারবার আশ্বাস দেওয়া সত্ত্বেও স্থায়ী ক্যাম্পাসের জন্য কোনো দৃশ্যমান পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। দ্রুত দাবি বাস্তবায়ন না হলে আরও কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তারা।

হাটিকুমরুল হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুর রউফ জানিয়েছেন, শিক্ষার্থীরা সকাল ১০টা ৫৫ মিনিট থেকে অবরোধ শুরু করে। তবে পুলিশ বিকল্প রুটে শহরের ভেতর দিয়ে যানবাহন পার করার চেষ্টা করছে।

এর আগে গত ৭ আগস্ট শিক্ষার্থীরা ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তাদের দাবি পূরণের আল্টিমেটাম দিয়েছিলেন। সেই সময়সীমা পার হয়ে যাওয়ার পরও কোনো সাড়া না পাওয়ায় তারা এই কঠোর কর্মসূচিতে নেমেছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে ১০০ একর জমিতে ৫১৯ কোটি ১৫ লাখ টাকা ব্যয়ে স্থায়ী ক্যাম্পাস নির্মাণের একটি প্রস্তাব পাঠানো হলেও তা এখনো অনুমোদন পায়নি।

শিক্ষার্থীরা বলছেন, অস্থায়ী ক্যাম্পাসে ক্লাস করার কারণে তারা আবাসন সংকট ও নিরাপত্তার অভাবে ভুগছেন। পড়াশোনার মান এবং গবেষণার পরিবেশও বিঘ্নিত হচ্ছে। সরকারের উচিত দ্রুত এই সমস্যার সমাধান করা এবং বিশ্বকবির নামে প্রতিষ্ঠিত এই বিশ্ববিদ্যালয়কে একটি উপযুক্ত পরিবেশে নিয়ে আসা।