সোমবার, ১৮ আগস্ট, ২০২৫, ২ ভাদ্র ১৪৩২

খানসামার ‘মাঝিয়ালির চর’ বর্ষার দুর্ভোগ, যাতায়াতের নৌকা না থাকায় ১৩টি পরিবার বিচ্ছিন্ন

রিশাদ হোসেন

আগস্ট ১৬, ২০২৫, ০২:৪৫ পিএম

খানসামার ‘মাঝিয়ালির চর’ বর্ষার দুর্ভোগ, যাতায়াতের নৌকা না থাকায় ১৩টি পরিবার বিচ্ছিন্ন

দিনাজপুরের খানসামা উপজেলার আলোকঝাড়ি ইউনিয়নের বাসুলী এলাকায় আত্রাই নদীর মাঝে জেগে উঠেছে ছোট্ট এক চর, যার নাম ‘মাঝিয়ালির চর’। প্রায় ২০ একরের এই চরে ১৩টি পরিবারের বসবাস। চারদিকে নদীর পানি আর সবুজ প্রকৃতির মাঝে তাদের জীবন চলে চাষাবাদ, গরু-ছাগল ও হাঁস-মুরগি পালনের ওপর নির্ভর করে।

তবে বর্ষা এলে পুরো দৃশ্যপট পাল্টে যায়। টানা বৃষ্টিতে নদীর পানি বেড়ে গেলে চরটি জলবেষ্টিত হয়ে পড়ে। তখন অসুস্থ রোগী বা জরুরি কাজে পারাপার হতে তাদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়, কারণ নিজেদের কোনো নৌকা নেই। ভাড়া করা নৌকাও অনেক সময় পাওয়া যায় না, যা তাদের ভোগান্তি আরও বাড়িয়ে দেয়।

মাঝিয়ালির চরের বাসিন্দা আব্দুল লতিফ বলেন, "৭১ সালের যুদ্ধের পর থেকেই আমরা এখানে বসবাস করছি। বর্ষায় নদীর পানি বাড়লে আমরা পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ি। অসুস্থ হলে বা জরুরি কাজে বাইরে যেতে অন্যের নৌকা ভাড়া করতে হয়। অনেক সময় নৌকা পাওয়া যায় না, ভোগান্তিতে থাকতে হয়।"

আরেক বাসিন্দা সোহেল ইসলাম বলেন, "বর্ষায় বাজার করা থেকে শুরু করে স্কুলে যাওয়া সবকিছুই কষ্টকর হয়ে যায়। বিশেষ করে কেউ অসুস্থ হলে চিন্তা আরও বেড়ে যায়। আমাদের নিজের একটি নৌকা থাকলে এই কষ্ট অনেকটাই কমে যেত।"

এ বিষয়ে আলোকঝাড়ি ইউপি চেয়ারম্যান খলিলুর রহমান জানান, এর আগে তাদের যাতায়াতের জন্য একটি নৌকা দেওয়া হয়েছিল, যা বর্তমানে ব্যবহার অনুপযোগী। তিনি বলেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নির্দেশে পুনরায় নৌকা তৈরির কাজ শুরু হয়েছে এবং আশা করা হচ্ছে শিগগিরই সমস্যার সমাধান হবে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কামরুজ্জামান সরকার বলেন, "মাঝিয়ালির চরের যাতায়াত সমস্যা সম্পর্কে জানার পর আমরা সরেজমিনে পরিদর্শন করেছি। জরুরি পরিস্থিতিতে যেন তারা নৌকায় যাতায়াত করতে পারে, সে বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে।"