জুলাই ৩০, ২০২৫, ১১:৩৮ এএম
ভূমিকম্প প্রবণ দেশ হিসেবে জাপান সবসময়ই প্রাকৃতিক দুর্যোগের উচ্চ ঝুঁকিতে থাকে। বিশেষ করে সমুদ্র তলদেশের ভূমিকম্প থেকে সৃষ্ট সুনামি জাপানের জন্য এক বড় চ্যালেঞ্জ। এমন পরিস্থিতিতে, দ্রুততম সময়ে নাগরিকদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া এবং দুর্যোগ মোকাবিলায় প্রস্তুতি গ্রহণ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সম্প্রতি রাশিয়ায় সৃষ্ট এক শক্তিশালী ভূমিকম্পের জেরে জাপানের উপকূলে সুনামি আঘাত হানায় দেশটি তাৎক্ষণিকভাবে ব্যাপক আকারের উদ্ধার ও পুনর্বাসন কার্যক্রম শুরু করেছে।
রাশিয়ায় ৮ দশমিক ৮ মাত্রার ভূমিকম্পের জেরে সুনামির ঢেউ আঘাত হানার পর রাজধানী টোকিওসহ দেশের উপকূলীয় এবং উপকূলবর্তী বিভিন্ন অঞ্চল থেকে প্রায় ২০ লাখ মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে জাপান।
দেশটির আগুন ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, দেশের ২১টি প্রিফেকচার বা প্রশাসনিক অঞ্চল থেকে মোট ১৯ লাখ ৫৫ হাজার ৫৯৬ জনকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়ার কাজ ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে। সবচেয়ে বেশি মানুষ সরানো হচ্ছে হোক্কাইডো, কানাগাওয়া এবং ওয়াকায়েমা দ্বীপ থেকে।
আজ বুধবার ভোরের দিকে রাশিয়ার দূরপ্রাচ্যের অঞ্চল কামচাটকায় ৮ দশমিক ৮ মাত্রার একটি ভূমিকম্প এবং তার পর ৬ দশমিক ৯ মাত্রার ‘আফটার শক’ হয়। সেই ভূমিকম্পের পর ৪ মিটার (১২ ফুট) উচ্চতার ঢেউ এসে আঘাত হানে জাপানের সর্বউত্তরের দ্বীপ হোক্কাইডোতে।
এক প্রতিবেদনে রয়টার্স জানিয়েছে, প্রশান্ত মহাসাগরের বিস্তৃত অঞ্চলজুড়ে জারি করা হয়েছে সুনামি সতর্কতা।
জাপানের আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, রাজধানী টোকিওসহ দেশের বেশ কিছু অঞ্চলে আঘাত হেনেছে সুনামির ঢেউ, তবে যতটা ভয়াবহ পরিস্থিতির আশঙ্কা তারা করেছিলেন, বাস্তবে ততটা হয়নি। সুনামির প্রভাবে বর্তমানে জাপানের পূর্ব উপকূলে যেসব ঢেউ উঠছে, সেগুলোর উচ্চতা ৩০ থেকে ৫০ সেন্টিমিটারের মধ্যে।
তবে সুনামির ধাক্কায় জাপানের পরিবহন ব্যবস্থা এলোমেলো হয়ে পড়েছে। জাপানের প্রশান্ত মহাসাগরের তীরবর্তী বিমানবন্দর সেন্দাই ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্ট তার যাবতীয় অপারেশন বন্ধ করেছে। স্থগিত করা হয়েছে হোক্কাইডো, ওমোরি এবং টোকিওর মধ্যে ফেরি চলাচল ব্যবস্থাও। জরুরি পরিষেবা ও নিরাপত্তা বাহিনী উদ্ধার কার্যক্রমে নিয়োজিত রয়েছে।
দিনাজপুর টিভির সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
আপনার মতামত লিখুন: