আগস্ট ১২, ২০২৫, ০১:০৪ পিএম
ভারতের অন্যতম বৃহত্তম কৃষি রপ্তানি খাত চিংড়ি শিল্প বর্তমানে এক গভীর সংকটের মুখোমুখি। যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে আরোপিত প্রতিশোধমূলক শুল্ক ২৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৫০ শতাংশ করায় এই গুরুত্বপূর্ণ খাতটি বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে। এই পরিস্থিতিতে ভারতের সিফুড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন জরুরি আর্থিক সহায়তার জন্য বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে।
সিফুড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক কেএন রাঘবন জানিয়েছেন, প্রায় ২ বিলিয়ন ডলারের চিংড়ি রপ্তানি এখন বড় ধরনের বাধার সম্মুখীন। যেখানে ২০২৪ সালে ভারত ২.৮ বিলিয়ন ডলারের চিংড়ি যুক্তরাষ্ট্রে পাঠিয়েছিল, সেখানে চলতি বছরে এখন পর্যন্ত রপ্তানির পরিমাণ মাত্র ৫০ কোটি ডলারেই আটকে আছে।
রাঘবনের মতে, নতুন শুল্কের কারণে ভারতীয় সামুদ্রিক খাবার এখন চীন, ভিয়েতনাম ও থাইল্যান্ডের তুলনায় অনেক বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে। কারণ, এসব দেশে মার্কিন শুল্ক মাত্র ২০-৩০ শতাংশ। তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, এই পরিস্থিতিতে এশিয়ার প্রতিদ্বন্দ্বী দেশগুলো ভারতীয় রপ্তানিকারকদের বাজার দখল করে নেবে।
এই সংকট মোকাবিলায় অ্যাসোসিয়েশন সরকারের কাছে বিভিন্ন প্রস্তাব দিয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে: সস্তা ঋণ সুবিধা, কার্যকরী মূলধন ৩০ শতাংশ বৃদ্ধি, সুদ ভর্তুকি এবং ঋণ পরিশোধের সময়সীমা ২৪০ দিনে বাড়ানো। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই শিল্পটি উপকূলীয় রাজ্যগুলোর লাখ লাখ মানুষের কর্মসংস্থান এবং দেশের বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের অন্যতম প্রধান উৎস। সরকারের দ্রুত পদক্ষেপ ছাড়া এই খাতের ভবিষ্যৎ অন্ধকারে ঢেকে যেতে পারে।