আগস্ট ২০, ২০২৫, ০৯:৪১ এএম
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইউক্রেনে মার্কিন সেনা না পাঠানোর বিষয়ে তার চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি এবং ইউরোপীয় নেতাদের সঙ্গে হোয়াইট হাউসে বৈঠকের পর মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) ফক্স নিউজের একটি টকশোতে টেলিফোনে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এই ঘোষণা দেন।
ট্রাম্প বলেন, "আমি প্রেসিডেন্ট, আমি আপনাদের নিশ্চয়তা দিচ্ছি যে, ইউক্রেনে কোনো মার্কিন সেনা পাঠানো হবে না।"
এই মন্তব্যের মাধ্যমে ট্রাম্প ইউক্রেন সংকটে তার প্রশাসনের অবস্থান স্পষ্ট করেছেন। তিনি আরও বলেন, তার মূল লক্ষ্য হলো এই যুদ্ধ বন্ধ করা এবং নিরপরাধ মানুষের মৃত্যু ঠেকানো। সোমবার হোয়াইট হাউসে জেলেনস্কি ও ইউরোপীয় নেতাদের সঙ্গে বৈঠকের পর ট্রাম্প বলেন, তারা রাশিয়ার সঙ্গে একটি সম্ভাব্য যুদ্ধবিরতি চুক্তির বিষয়ে আলোচনা করেছেন। এই চুক্তি কার্যকর হলে ইউক্রেনের নিরাপত্তা কীভাবে নিশ্চিত করা হবে, তা নিয়েও কথা হয়েছে।
ফক্স নিউজের পক্ষ থেকে যখন ট্রাম্পকে সরাসরি প্রশ্ন করা হয় যে, যুক্তরাষ্ট্র কি নিরাপত্তা নিশ্চয়তার অংশ হিসেবে ইউক্রেনে সেনা পাঠাবে, তখন তিনি দৃঢ়ভাবে "না" বলে উত্তর দেন এবং বলেন, "প্রেসিডেন্ট হিসেবে আমি আপনাদের সেই আশ্বাস দিচ্ছি।"
ট্রাম্প জানান, তিনি রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে ফোন করে আলোচনায় বসার আহ্বান জানিয়েছেন এবং জেলেনস্কিকে আলোচনায় আরও নমনীয় হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। ট্রাম্পের মতে, পুতিন ও জেলেনস্কি উভয়কেই এই সংকট সমাধানে আলোচনার টেবিলে বসতে হবে। তিনি বলেন, "আমি আশা করি জেলেনস্কি যা করার দরকার, তা করবেন। তবে আলোচনায় তাকে অবশ্যই নমনীয় হতে হবে।"
এদিকে, যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার তার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে (সাবেক টুইটার) লিখেছেন, ট্রাম্প ও ইউরোপীয় নেতাদের মধ্যে বৈঠকের পর ইউক্রেনের নিরাপত্তা নিশ্চয়তা এবং পুতিনের সঙ্গে জেলেনস্কির সম্ভাব্য বৈঠকের বিষয়ে বড় অগ্রগতি হয়েছে। এই ঘোষণা আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক মহলে মিশ্র প্রতিক্রিয়ার জন্ম দিয়েছে, যেখানে কেউ কেউ ট্রাম্পের সিদ্ধান্তকে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য একটি বাস্তবসম্মত পদক্ষেপ হিসেবে দেখছেন, আবার কেউ কেউ একে ইউক্রেনের প্রতি মার্কিন সমর্থনের দুর্বলতা হিসেবে বিবেচনা করছেন।