সোমবার, ০৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ২৪ ভাদ্র ১৪৩২

ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে পারে যেসব খাবার, জেনে নিন

দিনাজপুর টিভি ডেস্ক

সেপ্টেম্বর ৮, ২০২৫, ০১:১৯ পিএম

ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে পারে যেসব খাবার, জেনে নিন

ছবি - সংগৃহীত

ক্যান্সারের সঠিক কারণ নিয়ে গবেষকদের মধ্যে এখনো নিশ্চিত মতভেদ রয়েছে। অনেকে এই রোগকে জিনগত কারণে সৃষ্ট বলে মনে করেন, আবার অনেকে অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন ও খাদ্যাভ্যাসকে এর জন্য দায়ী করেন। চিকিৎসা বিষয়ক সাময়িকী ল্যানসেটে প্রকাশিত এক গবেষণায় বলা হয়েছে, বিশ্বজুড়ে ক্যান্সারে আক্রান্তের সংখ্যা দ্রুত বাড়ছে। তরুণ প্রজন্মের মধ্যেই স্তন, লিভার, মলাশয়, মলদ্বার, পিত্তথলি ও অগ্ন্যাশয়সহ প্রায় ১৭ ধরনের ক্যান্সারের অস্তিত্ব ধরা পড়েছে।

ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে নতুন ওষুধ ও প্রতিষেধক আবিষ্কারের চেষ্টা চলছে বিশ্বজুড়ে। তবে গবেষকেরা বলছেন, কিছু খাবার নিয়মিত খেলে এই মারণরোগের সম্ভাবনা অনেকটাই হ্রাস পেতে পারে। চলুন, জেনে নেওয়া যাক সেইসব খাবার সম্পর্কে।

টক দই: অনেকের দৈনন্দিন খাবার তালিকায় দই থাকে। এতে রয়েছে প্রোবায়োটিক উপাদান ও উপকারী ব্যাকটেরিয়া যা শরীরের ক্ষতিকর জীবাণু ধ্বংস করে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। এছাড়া এতে ভিটামিন এ, বি-৬, ফ্যাট, ক্যালসিয়াম ও ফসফরাসও রয়েছে। দই শরীরে টক্সিন জমতে দেয় না। ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ হেলথ-এর গবেষণা অনুযায়ী, পরিমিত পরিমাণে টক দই খেলে কোলন, ফুসফুস ও স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি কমে।

দইয়ের ঘোল: দইয়ের ঘোলেও প্রোবায়োটিক থাকে, যা শরীরের প্রদাহ কমাতে কার্যকর। এতে রয়েছে ভিটামিন বি, পটাশিয়াম, খনিজ ও প্রোটিন। গবেষণায় দেখা গেছে, দইয়ের ঘোলের অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট কোষের অনিয়মিত বিভাজন ঠেকিয়ে ক্যান্সারের আশঙ্কা কমাতে পারে।

পনির: পনির হলো প্রোটিন, ক্যালসিয়াম ও সেলেনিয়ামের অন্যতম উৎস। সেলেনিয়াম একটি অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট যা কোষের প্রদাহ কমিয়ে শরীর থেকে টক্সিন দূর করতে সহায়তা করে। তবে পনির সবসময় পরিমিত মাত্রায় খাওয়া উচিত।

ঘি: ঘিতে রয়েছে ভিটামিন এ, ডি, ই, কে এবং এতে স্যাচুরেটেড ফ্যাটের মাত্রা তুলনামূলক কম। পরিমিত ঘি খেলে রক্তে কোলেস্টেরল কমতে পারে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বাড়ে। যদিও ঘি সরাসরি ক্যান্সার প্রতিরোধ করে এমন বৈজ্ঞানিক প্রমাণ নেই, তবে গবেষকেরা বলছেন, ঘিতে থাকা কনজুগেটেড লিনোলিক অ্যাসিড ক্যান্সার কোষ তৈরি হতে দেয় না। এছাড়া এতে থাকা বিউটারিক অ্যাসিড অন্ত্রের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী, যা লিভার ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে পারে।