আগস্ট ২৭, ২০২৫, ১০:৪৪ এএম
মুসলিম উম্মাহর জন্য বছরের সবচেয়ে বরকতময় মাস রমজান। এই মাসটি আত্মশুদ্ধি, ইবাদত-বন্দেগি এবং সংযমের বার্তা নিয়ে আসে। বিশ্বজুড়ে কোটি কোটি মুসলমান অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করেন এই পবিত্র মাসের জন্য। সম্প্রতি ২০২৬ সালের রমজান মাস শুরুর সম্ভাব্য তারিখ জানা গেছে। গালফ নিউজের এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, আগামী বছর অর্থাৎ ২০২৬ সালে ১৭ ফেব্রুয়ারি (মঙ্গলবার) থেকে রোজা শুরু হতে পারে। তবে চূড়ান্ত তারিখ চাঁদ দেখার ওপর নির্ভরশীল।
ইসলামিক ক্যালেন্ডার অনুযায়ী, রমজান মাস শুরু হয় নতুন চাঁদ দেখার মাধ্যমে। সাধারণত ২৯ শাবান সন্ধ্যায় চাঁদ দেখা কমিটির পর্যবেক্ষণের পর আনুষ্ঠানিকভাবে রমজান শুরুর ঘোষণা দেওয়া হয়। প্রতিটি দেশের ধর্মীয় কর্তৃপক্ষ এবং চাঁদ দেখা কমিটি তাদের নিজস্ব পদ্ধতি অনুসারে এই সিদ্ধান্ত নেয়। যদিও জ্যোতির্বিদ্যা-সংক্রান্ত পূর্বাভাসে একটি সম্ভাব্য তারিখ দেওয়া হয়, তবুও ধর্মীয় নিয়ম অনুযায়ী চাঁদ দেখার পরই তা নিশ্চিত করা হয়।
আমাদের অনুসন্ধানে জানা গেছে, ইসলামিক ক্যালেন্ডারটি চন্দ্রচক্র অনুসরণ করে, যার ফলে প্রতিটি চান্দ্র মাস সৌর মাসের চেয়ে প্রায় ১০ থেকে ১১ দিন ছোট হয়। এই কারণে গ্রেগোরিয়ান ক্যালেন্ডারে প্রতি বছর রমজান মাস প্রায় ১০ থেকে ১১ দিন এগিয়ে আসে। এই চক্রটি ৩৩ বছর ধরে চলতে থাকে, যার ফলে মুসলমানরা জীবনের বিভিন্ন সময়ে সব ঋতুতেই পবিত্র মাসটি পালনের সুযোগ পান। এটি রমজানের একটি বিশেষ দিক, যা বিশ্বজুড়ে মুসলিমদের জন্য এক ধরনের বৈচিত্র্যময় অভিজ্ঞতা নিয়ে আসে।
ধর্মীয় বিশেষজ্ঞদের মতে, রোজা শুধু না খেয়ে থাকার নাম নয়, বরং এটি শারীরিক, মানসিক ও আত্মিক পরিশুদ্ধির একটি মাধ্যম। রোজার মাধ্যমে একজন মুসলমান আল্লাহর নৈকট্য লাভ করেন, ধৈর্য ও সহিষ্ণুতার শিক্ষা গ্রহণ করেন এবং সমাজের দরিদ্র ও অভাবী মানুষের প্রতি সহানুভূতিশীল হন। রমজান মাস পরিবার, আত্মীয়স্বজন এবং বন্ধু-বান্ধবের মধ্যে বন্ধন আরও দৃঢ় করে তোলে এবং সমাজে সংহতি ও উদারতার মূল্যবোধ ছড়িয়ে দেয়। তাই, ২০২৬ সালের সম্ভাব্য তারিখ জানার পর থেকেই মুসলিমরা অধীর আগ্রহে এই পবিত্র মাসের জন্য অপেক্ষা করছেন।